এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীদের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুপুর আড়াইটায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়।
তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কেউই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ইসি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল করিম ও খুরশীদ-উল-আলম, ইসি সদস্য নাজমুল হাসান ও শরীয়া মেম্বার সেক্রেটারি ড. আবদুস সামাদ।
এছাড়া এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, পরিচালক প্রফেসর (ড.) কাজী শহীদুল আলম, ইসি কমিটির সদস্য ও সতন্ত্র পরিচালক ড. মো. ফসিউল আলম এবং ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমদকে আজ জিজ্ঞসাবাদের কথা ছিল। তবে তারা দুদকে উপস্থিত হননি।
গত ১১ নভেম্বর ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এছাড়া আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে।
চিঠিতে কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, ঘুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস নামীয় ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং সংক্রান্তে কর্মকর্তার ভূমিকার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসহ হাজির হতে বলা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যান্যরা ঋণের নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এর আগে গত ২১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।
এসএম/ইএ/এমএস