ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় নির্মম হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে মঙ্গলবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সামগ্রিক বিবেচনায় গুরুত্বের দাবি রাখে।
তিনি বলেন, সেনাপ্রধানের বক্তব্য আমলে নিয়ে আশঙ্কা দূর করতে অনতিবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, রাষ্ট্রের সেনাপ্রধান যখন বার বার সতর্কবাণী উচ্চারণ করে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপরে হুমকি আছে বলে বক্তব্য দেন, তখন তা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
- আরও পড়ুন
- নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি না করে আসুন আমরা এক থাকি
- সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ করবেন না, অনুপ্রাণিত করুন: সেনাপ্রধান
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, অনতিবিলম্বে সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জরুরি বৈঠক করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণ এবং এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করা উচিত। কেননা সেনাপ্রধানের বক্তব্যে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতার প্রশ্ন এসেছে। তাদের আচরণজনিত নানান বিষয় উঠে এসেছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব যেমন সেনাবাহিনীর ওপরে বর্তায়, একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরও বর্তায়। ফলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা দরকার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে পেশাগত ও পদ্ধতিগত কারণে সেনাপ্রধান যা জানেন তা রাজনৈতিক দলগুলোর জানার কথা নয়। কিন্তু স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হলে সর্বদলীয় বৈঠক করে করণীয় নির্ধারণ করার রীতি রাষ্ট্রব্যবস্থায় আছে।
এ অবস্থায় সেনাপ্রধানের আশঙ্কাকে আমলে নিয়ে সেই আশঙ্কা দূর করার জন্য অনতিবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে, যোগ করেন মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
এএএম/কেএসআর/জিকেএস