জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক বলেছেন, সংস্কার, সমতা, বৈষম্য দূরিকরণসহ সব বিষয়ের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা কোরআনে ও নবিজির জীবনাদর্শে আছে। আমাদের দেশের বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কারের কথা উচ্চারিত হচ্ছে, এসব সংস্কার কোরআন ও নবিজির (সা.) আদর্শের আলোকেই করতে হবে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় মসজিদে জুমার বয়ানে তিনি এ সব কথা বলেন।
মুফতি আব্দুল মালেক বলেন, বাংলাদেশে মুসলিম অমুসলিম সবাই ইনসাফের সাথে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। কিন্তু বৈষম্য দূর করা বা সংস্কার, সমতা বিধানের নামে নতুন বৈষম্য তৈরি করা, অথবা ইসলাম বিরোধী কোন নিয়ম-কানুন বা সংস্কৃতি আমদানি করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে একটি সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার, সমতা বিধান এবং বৈষম্য দূরীকরণের আলোচনা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, সংস্কারের যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা কোরআন ও সুন্নাহয় দেওয়া হয়েছে তাকে পাশ কাটিয়ে পশ্চিমা সভ্যতা ও আদর্শের অনুসরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে পশ্চিমা আদর্শ-সংস্কৃতির প্রচলন ও প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সতর্ক করে মুফতি আব্দুল মালেক বলেন, তাওহিদের এই উর্বর জমিনে যারা কোরআন ও নবিজির (সা.) আদর্শকে পাশ কাটিয়ে সমতা ও সংস্কারের নামে পশ্চিমা আদর্শ ও সংস্কৃতি আমদানি করতে চায়, তাদের সতর্ক করে বলতে চাই, আল্লাহকে ভয় করুন, অন্যথায় আল্লাহর গজব নেমে আসবে।
ইসলামের জীবনাদর্শকে নিজেদের জীবনে পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, কালিমার মাধ্যমে আমরা ঈমান আনলেও এর অর্থ, মর্ম ও ফলাফল চিন্তা করি না। কোরআনে আল্লাহ তাআলা কালিমাকে ফলদায়ক গাছের সঙ্গে তুলনা করেছেন। একটি গাছ ফলদায়ক হওয়ার জন্য সঠিকভাবে বীজ রোপন করতে হয়, নিয়মিত পানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। পরিচর্যার মাধ্যমে গাছের ডালপালা সুন্দরভাবে বেড়ে উঠে। একইভাবে কালিমা অন্তরে ঈমানের বীজ রোপন করে। এই বীজকে ঈমানের অন্যান্য সব শাখায় পরিপূর্ণ করা এবং সুন্নাহ পালনের মাধ্যমে মজবুত করা সবার দায়িত্ব।
ওএফএফ/এমএস