ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপসহ দুই ডজন কর্মপরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। তবে ভোট ও তপশিলের চূড়ান্ত তারিখ রোডম্যাপে না থাকলেও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ ভোট ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
ইসির একাধিক সূত্রে এমন আভাস পাওয়া গেছে। সম্ভাব্য এসব পরিকল্পনা ইতোমধ্যে ইসি অনুমোদন করেছে। বিষয়গুলো আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকের জানান, (কর্মপরিকল্পনা) দুপুরের পর কথা বলবেন তিনি।
এর আগে বুধবার ইসি সচিব বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার অপেক্ষা করুন; সারপ্রাইজ থাকুক।
সূত্র জানায়, রোডম্যাপের মধ্যে সংলাপ, মতবিনিময়, মিটিং, ব্রিফিং, প্রশিক্ষণ, মুদ্রণ, বাজেট বরাদ্দ, আইটিভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রচারণা, সমন্বয় সেল, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক থেকে যাবতীয় কর্মপরিকল্পনা মাথায় রেখে উল্লেখযোগ্য খাত ও বাস্তবায়নসূচিতে স্থান পেয়েছে। পরিকল্পনায় আরও রয়েছে অংশীজনের সংলাপ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচনী আইন বিধি সংস্কার, দল নিবন্ধন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, ভেটকেন্দ্র স্থাপন, পোস্টাল ভোটিং, পযবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, দেশি বিদেশি সাংবাদিক অনুমোদন; নির্বাচনের জন্য জনবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা, নির্বাচনি দ্রব্যাদি সংগ্রহ, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কাযক্রম। এ ছাড়া অন্যান্য আইনবিধি সংস্কার একীভূতকরণ; ম্যানুয়েল নির্দেশিকা পোস্টার পরিচয়পত্র মুদ্রণ; প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স উপযোগীকরণ, নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দ, প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, ডিজিটাল মনিটর স্থাপন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার, ফলাফল প্রদর্শন, প্রকাশ ও প্রচার (বিভিন্ন মাধ্যমে); বিবিধ।
সূত্র আরও জানায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সেপ্টেম্বরে শেষ সপ্তাহে সংলাপ শুরু হতে পারে, যা শেষ হতে সময় লাগবে দেড় মাস।