ঈদ ঘিরে প্রাণ ফিরেছে কুয়াকাটায়

2 months ago 50

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। প্রকৃতি ও সমুদ্রের টানে দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন এখানে। ঈদের ছুটিতে সৈকত যেন হয়ে উঠেছে আনন্দ-উৎসবের মিলনমেলা। ঈদুল আজহার ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন অনেকে। এ সুযোগে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে কুয়াকাটা এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে সকাল থেকেই সৈকতে ভিড় জমাতে শুরু করেন ভ্রমণ প্রেমীরা। স্নিগ্ধ সমুদ্রের ঢেউ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে মিশে গেছে ঈদের খুশির জোয়ার। শেষ বিকেলেও ঢেউয়ের মিতালিতে মেতেছেন অনেকে।

পটুয়াখালীর পাশাপাশি বরগুনা, ঝালকাঠি ও আশপাশের জেলা থেকেও প্রচুর মানুষ ঈদের দিন বেড়াতে এসেছেন কুয়াকাটায়। স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের নানা প্রান্তের পর্যটকরাও আসতে শুরু করেছেন। হোটেল-মোটেলগুলোতে অধিকাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। আগামী রোববার (৮ জুন) থেকে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার দুপুরে কুয়াকাটা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটা উপকূলের বিস্তৃত বালিয়াড়িতে উৎসবমুখর মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। কেউ সাঁতার কাটছেন, কেউ দল বেঁধে ছবি তুলছেন, কেউবা আবার বেঞ্চে বসে ঢেউয়ের গর্জন শুনে সময় কাটাচ্ছেন। অনেকে ঘোড়ার গাড়ি, মোটরবাইক কিংবা ইজিবাইকে সৈকতের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ঘুরে দেখছেন। পর্যটকরা ভিড় করছেন লেম্বুর বন, শুঁটকি পল্লি, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি ও বৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন স্পটে।

ঈদের দিনে বরগুনা থেকে ঘুরতে আসা রায়হান বলেন, ‘নামাজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে কুয়াকাটায় এসেছি। ঢেউয়ের সঙ্গে মেতেছি, সাঁতার কেটেছি এক কথায় দারুণ সময় কাটছে।’

ঝালকাঠি থেকে আসা আসাদ-রুনা দম্পতি বলেন, ‘দুপুরে মোটরসাইকেলে করে এসেছি। সৈকতের পরিবেশটা খুবই সুন্দর। ভালো হোটেল পেলে হয়ত রাত্রিযাপনও করব।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, আজ সৈকতে স্থানীয় দর্শনার্থীদের ভিড় রয়েছে। তবে আগামীকাল থেকে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। 

পর্যটকদের নিরাপত্তায় রয়েছে কঠোর নজরদারি। ট্যুরিস্ট কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, দর্শনীয় সকল স্পটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি থানা ও নৌ-পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। আগত দর্শনার্থীরা নিরাপদেই তাদের সময় কাটাতে পারবেন। তাদের নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ সোচ্চার হয়েছে। 

Read Entire Article