উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা সিরিয়ার
সিরিয়া তাদের ভূখণ্ডে থাকা উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য দিয়েছে দুটি পৃথক সূত্র। তবে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো চীন সফরে যান সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি। জানা গেছে তার কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবে চীন। একটি সিরীয় সরকারি সূত্র জানায়, চীনের অনুরোধে দামেস্ক ‘ব্যাচ করে’ উইঘুর যোদ্ধাদের হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করেছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, নতুন সেনাবাহিনীতে এসব যোদ্ধাকে অন্তর্ভুক্ত করতে চীন অসম্মতি জানিয়েছে। সিরিয়ায় অবস্থানরত আরেক কূটনৈতিক সূত্রও এএফপিকে নিশ্চিত করেছে যে, খুব শিগগিরই ৪০০ উইঘুর যোদ্ধাকে চীনের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে এএফপি খবরটি প্রকাশের পরপরই সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা এক বিবৃতিতে জানায়, এমন সিদ্ধান্তের খবর ‘ভিত্তিহীন’। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সিরিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কোনো পক্ষকে চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করতে দেওয়া হবে না।
সিরিয়া তাদের ভূখণ্ডে থাকা উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন তথ্য দিয়েছে দুটি পৃথক সূত্র। তবে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রথমবারের মতো চীন সফরে যান সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি। জানা গেছে তার কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবে চীন।
একটি সিরীয় সরকারি সূত্র জানায়, চীনের অনুরোধে দামেস্ক ‘ব্যাচ করে’ উইঘুর যোদ্ধাদের হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করেছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, নতুন সেনাবাহিনীতে এসব যোদ্ধাকে অন্তর্ভুক্ত করতে চীন অসম্মতি জানিয়েছে।
সিরিয়ায় অবস্থানরত আরেক কূটনৈতিক সূত্রও এএফপিকে নিশ্চিত করেছে যে, খুব শিগগিরই ৪০০ উইঘুর যোদ্ধাকে চীনের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তবে এএফপি খবরটি প্রকাশের পরপরই সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা এক বিবৃতিতে জানায়, এমন সিদ্ধান্তের খবর ‘ভিত্তিহীন’।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সিরিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কোনো পক্ষকে চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করতে দেওয়া হবে না। বেইজিং আশা প্রকাশ করেছে, দামেস্ক এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে, যা দুই দেশের সম্পর্কের পথে থাকা নিরাপত্তা বাধা দূর করবে।
এদিকে, সিরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাইবানিও বলেন, সিরিয়া কোনোভাবেই চীনের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে উঠবে না ও তাদের ভূখণ্ডকে চীনের নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্তকারী কোনো কার্যক্রমে ব্যবহার করতে দেবে না।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, এখনো সিরিয়ায় ৩ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার উইঘুর যোদ্ধা রয়েছে, যাদের নতুন সেনাবাহিনীর একটি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে সরকারি ও কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যাদের হস্তান্তরের কথা বলা হচ্ছে, তারা ওই অন্তর্ভুক্ত তালিকায় নেই।
সম্প্রতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভোটাভুটিতে বিরত ছিল চীন। ওই সময় চীনের জাতিসংঘদূত ফু কং বলেন, সিরিয়ায় বিদেশি জঙ্গিদের উপস্থিতি নিয়ে তাদের যৌক্তিক উদ্বেগ রয়েছে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরুর পর চীনের উইঘুর মুসলমানদের একটি অংশ সেখানে যায়। তারা বেশিরভাগই তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টির (টিআইপি) অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এসব উইঘুর ইদলিব প্রদেশে সক্রিয় ছিলেন ও আল-শারার মিত্র হিসেবে কাজ করেছেন।
সিরিয়ার ক্ষমতায় আসার পর আল-শারার সরকার সব সশস্ত্র গোষ্ঠী ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেয়, যার অধিকাংশকেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া হয়। গত ডিসেম্বরে শারা কয়েকজন সাবেক বিদ্রোহীকে সেনাবাহিনীর উচ্চপদে নিয়োগ দেন। অবজারভেটরির তথ্যমতে, তাদের মধ্যে টিআইপি’র সাবেক একজন উইঘুর সদস্যও ছিলেন।
সূত্র: এএফপি
এসএএইচ
What's Your Reaction?