হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের নিকটবর্তী হওয়ায় শীতের তীব্রতা ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে বিস্তীর্ণ জনপদ। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ৯৫%।
এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা নিম্নগামী হতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভুত হয়। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিম বাতাস আর কনকনে শীতের প্রকোপের কারণে কষ্ট বাড়ছে এ জেলার দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষজনের।
জানা যায়, শীতে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের মমিনপাড়া গ্রামের নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, কয়দিন থেকে খুব শীত ও কুয়াশা। সকালে ঠান্ডার কারণে কাজ করা যায় না। এতে খুব সমস্যায় পড়েছি। কয়েকদিনের তুলনায় আজ খুব কুয়াশা পড়েছে।
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় কালবেলাকে বলেন, হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভুত হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আজ শুক্রবার সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।