উপাচার্যের মেয়েসহ কোটায় ভর্তি ২১ জন, সমালোচনার ঝড়

1 hour ago 1

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে উপাচার্যের মেয়েসহ কোটায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন বিভাগে কোটায় ভর্তি হন তারা। এরমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ৩২ হাজার সিরিয়াল নিয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি হয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমের মেয়ে ফাতেমা তৌফিক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্নাতক প্রথম বর্ষে ৪০ নম্বর পেয়ে প্রথমে বিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তি হন ফাতেমা তৌফিক। পরে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে জীববিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে সুযোগ পান। এ বছর এই বিভাগে মেধা তালিকায় সবশেষ ৫০৩৫ সিরিয়াল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে পোষ্য কোটায় ৩২ হাজার সিরিয়াল নিয়েও উপাচার্যের মেয়ের ভর্তির সুযোগ পাওয়ার ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

আরও জানা যায়, ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় মোট তিনজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্যের মেয়ে ছাড়াও বাকি দুজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে এবং ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৫০ এবং ৫৩ দশমিক ৫০। পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়া এই তিনজনই জীববিজ্ঞান অনুষদে সুযোগ পেয়েছেন।

এবছর তিন পোষ্য কোটাসহ মোট ২১ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোটায় ভর্তি হয়েছেন। অন্যান্য কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮। তাদের মধ্যে ‌‘এ’ ইউনিট: প্রতিবন্ধী কোটায় তিনজন, হরিজন ও দলিত কোটায় একজন; ‘বি’ ইউনিট: মুক্তিযোদ্ধা (সন্তান) চারজন, প্রতিবন্ধী দুজন, হরিজন ও দলিত একজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একজন; ‘সি’ ইউনিট: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দুজন, বিকেএসপি একজন, মুক্তিযোদ্ধা একজন, হরিজন ও দলিত একজন এবং প্রতিবন্ধী একজন।

এ বিষয়ে ববির ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ‘নিয়ম মেনেই কোটায় সবাইকে ভর্তি করা হয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ নম্বর হলো পাস মার্ক, যা অতিক্রম করলেই কোটা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়। উপাচার্যের মেয়ে হিসেবে তাকে কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি।’

শাওন খান/এসআর/এএসএম

Read Entire Article