উৎসবে শাড়ি পরা কঠিন মনে হচ্ছে? এই ৫ ধাপে হয়ে উঠুন একদম পারফেক্ট!
শাড়ি পরতে কে না ভালোবাসে! কিন্তু মায়ের সাহায্য ছাড়া তা একাই সামলানো বেশ কঠিন মনে হয়, তাই না? বিশেষ করে উৎসবের দিন, যখন সবাই ব্যস্ত—মা, বোন, খালা—কেউই হাত বাড়িয়ে দিতে পারছেন না, তখন নিজের পছন্দের শাড়িটা পরা যেন এক বিশাল চ্যালেঞ্জ!
কিন্তু চিন্তা নেই! শাড়ি পরা সত্যিই কঠিন কিছু না—শুধু জানা দরকার কোথা থেকে শুরু করবেন, আর কীভাবে ধাপে ধাপে সামলাবেন। এই ৫টি সহজ ধাপ অনুসরণ করলেই আপনি নিজেই শাড়ি পরে ফেলতে পারবেন, তাও অনেকটাই গুছিয়ে।
চলুন, একবারে ঝটপট দেখে নিই কীভাবে!
প্রথমে একটু প্রস্তুতি নিন
শাড়ি পরার আগে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এক জায়গায় গুছিয়ে রাখুন। যেন মাঝপথে ‘এটা কোথায় গেল?’ বলে দৌড়াতে না হয়!
কী কী লাগবে
- হালকা ও ম্যানেজ করা সহজ একটা শাড়ি
- মানানসই ব্লাউজ
- ফিটেড পেটিকোট (বডি শেপিং হলে আরও ভালো)
- ৩-৪টি সেফটিপিন
- আয়না (ফুল লেন্থ হলে আদর্শ)
ধাপ ১: ব্লাউজ-পেটিকোট পরে নিন, ঠিকঠাক করে
পেটিকোটটা এমনভাবে বাঁধুন যেন টাইট থাকে, যাতে শাড়ি ঠিকভাবে আটকে থাকে। তবে অতিরিক্ত টাইট না হয়, অস্বস্তি যেন না লাগে।
ধাপ ২: শাড়ি গুঁজে প্রথম রাউন্ড প্যাঁচ দিন
শাড়ির নিচের সোজা অংশ (যেখানে কোনো ডিজাইন নেই) কোমরের ডান দিক থেকে পেটিকোটে গুঁজে শুরু করুন। এরপর একবার কোমর ঘুরে আসুন। খেয়াল রাখুন—কাপড় যেন ভাঁজ না পড়ে। নিচটা সব দিকে সমান থাকছে কিনা, সেটা দেখে নিন।
ধাপ ৩: কুঁচি বানান, ধৈর্য নিয়ে
এবার সামনে ৫-৬ ইঞ্চি করে কুঁচি বানাতে থাকুন। মোটামুটি ৬-৭টা কুঁচি ভালো দেখায়, তবে আপনার সুবিধামতো কম-বেশি করতেও পারেন।
সব কুঁচি একসঙ্গে ধরে নিচের দিকটা সমান করে পেটিকোটে গুঁজে দিন। ভেতর দিক থেকে একটা পিন দিন, যেন কুঁচি নড়েচড়ে না যায়। শাড়ির সৌন্দর্য কিন্তু অনেকটাই এই কুঁচির ওপর নির্ভর করে!
ধাপ ৪: আঁচল গুছিয়ে নিন
শাড়ির সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন অংশ—আঁচল। এটাকে ডান দিক থেকে বাঁ কাঁধের ওপর আনুন।
কতটা লম্বা রাখবেন, সেটা আপনার পছন্দের ওপর নির্ভর করছে। আঁচলটা কাঁধে সুন্দরভাবে রেখে একটি সেফটিপিন দিয়ে ব্লাউজের সঙ্গে লাগিয়ে নিন।
ধাপ ৫: আয়নায় দেখে নিন, গহনা পরে নিন
সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার পর আয়নায় একবার দেখে নিন—কুঁচিগুলো ঠিক আছে? আঁচল ঠিকঠাক ঝুলছে? কোমরের কাপড় সমান?
সব ঠিক থাকলে এবার নিজের পছন্দমতো গহনা পরে নিন। চুড়ি, দুল, মালা—যা ভালো লাগে!
একটা ছোট্ট পরামর্শ : শাড়ি পরার আগে পছন্দের জুতা পরে নিন। এতে শাড়ির লম্বা বা ছোট হওয়ার ঝামেলা এড়াতে পারবেন।
শাড়ি পরা নিখুঁত হওয়া জরুরি না, নিজে পরতে পারাটাই বড় আনন্দ! প্রথমবার হয়তো একটু সময় লাগবে, কিন্তু অভ্যাস হয়ে গেলে আর পেছনে ফিরতে হবে না। নিজের মতো করে পরুন, আয়নায় তাকান আর বলুন— ‘ওয়াও, আমি পারি!’
শাড়ি পরা শুধু ফ্যাশন নয়, আত্মবিশ্বাসেরও একটা বড় প্রকাশ। এই উৎসবে হোন নিজের স্টাইল আইকন!