ঊর্বশীর ২৩ সেকেন্ডের ভিডিও ফাঁস, যা বললেন অভিনেত্রী

3 hours ago 4

বলিউড অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতেলার বিতর্ক যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না। কিছুদিন আগে সাইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় মুখ খুলে কটাক্ষের শিকার হন এ অভিনেত্রী।

সাইফের প্রতি সমবেদনা জানানোর পরিবর্তে নিজের লাখ টাকার ঘড়ি শো-অফ করেন ঊর্বশী। এ ঘটনা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অসংবেদনশীল’ বিশেষণ দেওয়া হয় এ অভিনেত্রীকে। যদিও পরে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।

এবার বাথরুম থেকে ফাঁস হওয়ার ২৩ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন ঊর্বশী। ফাঁস হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, ঊর্বশী বাথরুমে প্রবেশ করছেন। তার পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। গোসলখানার দরজা বন্ধ করে জামাকাপড় খুলতে যাবেন এমন সময় ভিডিওটি বন্ধ হয়ে যায়। সবাই ভিডিওটি দেখে অবাক হয়েছেন।

এমন ব্যক্তিগত মুহূর্ত কীভাবে প্রকাশ্যে এসেছে-এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। এবার এ প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান ঊর্বশী। কেনো সেই ভিডিও ভাইরাল হলো, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এ অভিনেত্রী।

jagonews24

ঊর্বশী বলিউড বাবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘নির্মাতারা আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করে বলেছিলেন যে আমাদের ছবি নিয়ে কোনো হাইপ নেই, কোনো আলোচনা নেই। এ সিনেমার জন্য তাদের জমি বিক্রি করতে হয়েছিল এবং তারা বলেছিল যে এ সিনেমা নিয়ে আলোড়ন তৈরি করতে না পারলে তারা ঋণের দায়ে রাস্তায় এসে দাঁড়াবে’।

ঊর্বশী আরও বলেন, ‘তিনি এসে আমার ব্যবসায়ীক ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং আমাদের অনুমতি নেন। এটা সিনেমার দৃশ্য এমনই ছিল, আমরা আলাদা কিছু শুট করিনি। এটা সিনেমার একটি দৃশ্য ছিল, তাই তিনি বলেছিলেন যদি আমরা এটি আরও আগে মুক্তি দিতে পারি কিনা’। প্রযোজকদের কথা ভেবে প্রমোশন্যাল গিমিকের জন্যই এমনটা করেছেন ঊর্বশী। ঘুষপেটিয়া নামক এক সিনেমার অংশ এই দৃশ্য।

সাইফ আলি খানের মামলা নিয়ে ঊর্বশী রাউতেলাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই ভুল ছিল। এখন দারু মহারাজ ১০৫ কোটি রুপি আয় করেছেন এবং আমার মা আমাকে একটি হিরের রোলেক্স ঘড়ি উপহার দিয়েছেন এবং আমার বাবা আমাকে একটি মিনি ঘড়ি দিয়েছেন যা আমার আঙুলে রয়েছে। কিন্তু ভয় লাগে, এখন আর আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে এটা পরে বের হতে পারব না। নিরাপত্তাহীনতা থাকবে, কারণ যে কেউ আমাদের আক্রমণ করতে পারে। যা ঘটেছে তা খুবই অন্যায়।’ এমন মন্তব্যের জন্য কড়া সমালোচনার শিকার হন ঊর্বশী। পরে বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইতে হয় এ অভিনেত্রীকে।

এমএমএফ/জেআইএম

Read Entire Article