পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযানে সারাদেশে মোট ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা, দুটি কারখানা উচ্ছেদ এবং ১৩ হাজার ৩৪৩ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে অভিযানে এ জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম ও নেত্রকোনায় পরিচালনা করেন দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে দুটি মামলার মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং একটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঢাকার সাভারে অভিযান চালিয়ে টায়ার পাইরোলাইসিসের মাধ্যমে বায়ুদূষণের দায়ে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনটি মামলায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে একটি সিমেন্ট কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে এক মামলায় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
রমনায় যানবাহনের কালো ধোঁয়া নির্গমনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তিনটি মামলায় তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ১৫ জন চালককে সতর্ক করা হয়।
‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২’ অনুযায়ী, নির্মাণসামগ্রীর মাধ্যমে বায়ুদূষণের দায়ে সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার পল্টন, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, মিরপুর ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আট মামলায় ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
সাভারে চারকোল কারখানার বিরুদ্ধে অভিযানে দুটি মামলা করা হয়। দুটি কারখানা উচ্ছেদ করে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া কুমিল্লা, গাজীপুর, নওগাঁ ও সাভারে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও সরবরাহের দায়ে আট মামলায় ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ১৩ হাজার ৩৪৩ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়।
নওগাঁয় শব্দদূষণের বিরুদ্ধে অভিযানে দুটি যানবাহনের চালককে ৪০০ টাকা জরিমানা এবং চারটি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়। এছাড়া কয়েকজন চালককে সতর্ক করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরএমএম/আরএএস/এমএএইচ/জিকেএস