তামিমের অভিজ্ঞতা দেশের ক্রিকেটে কাজে লাগালে উপকার হবে: নান্নু

6 days ago 99

তামিম ইকবালের আপন চাচা আকরাম খান এবং মিনহাজুল আবেদিন নান্নু যখন চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগের হয়ে খেলতেন, তখন তামিম ছিল কিশোর। পরে, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু খেলা ছেড়ে কোচিংয়ে জড়ান। তখন হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে তামিমের ব্যাটিং কোচ ছিলেন নান্নু।

খুব স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রামে নান্নুর চোখের সামনেই তামিমের বেড়ে ওঠা। দেশসেরা ওপেনারের অবসর ঘোষণার প্রসঙ্গ আসতেই জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে নান্নু বলে ওঠেন, ‘তামিমকে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি। ওর বড় হওয়া আমার চোখের সামনেই। তার ক্রিকেটার হওয়ার গল্প আমার খুব ভালোভাবে জানা। এরপর তামিমের ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শুরু থেকেই আমি তাকে পেয়েছি। তামিম যখন হাই পারফরম্যান্সে আসে, আমি তখন এইচপির ব্যাটিং কোচ। সেখান থেকেই আমার তাকে চেনা, জানা।’

তামিম ইকবালের জাতীয় দল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত কি সময়োপযোগী? তিনি কি আরও বছর দুয়েক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারতেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘দুই বছর খেলতে পারত কিনা, তা বলা মুশকিল। তবে আমার মনে হয়, এ বছরটা, মানে ২০২৫, খেলে যেতে পারতো।’

তামিমকে ‘গ্রেটেস্ট ক্রিকেটার’ আখ্যা দিয়ে নান্নু বলেন, ‘দেশের জন্য তামিমের অবদান অসামান্য। মানুষ তাকে অনেক দিন মনে রাখবে। জাতীয় দলকে সে অনেক অবদান রেখেছে। তার বেশ কয়েকটি ভালো ইনিংস আছে, যেগুলো দলের সাফল্যের পেছনে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আমার মনে হয়, যারা ইয়াংস্টার আছে, তারা তামিমের সেই ইনিংসগুলো দেখে অনেক কিছু শিখতে পারবে। যেসব খেলোয়াড় তার সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছে, তারাও তামিমের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারবে। তামিমের ওইসব ইনিংস এবং তার ক্যারিয়ার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।’

কোচিং নাকি বোর্ড ম্যানেজমেন্ট-কোন পরিচয়ে তামিম ভবিষ্যতে থাকবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে নান্নুর ধারণা ও বিশ্বাস, তামিম দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে দেশের ক্রিকেট উপকৃত হবে, ‘যদি তামিম তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের (বিসিবি) সঙ্গে কাজে লাগায় এবং ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে এটি আমাদের জন্য বড় প্লাস পয়েন্ট হবে।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তকে ঠিক বা ভুল বলতে নারাজ নান্নু। তিনি মনে করেন, এটা যার যার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। নান্নুর ভাষায়, ‘এটা তামিমের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটাকে সম্মান জানাতেই হবে। সে কখন খেলা ছাড়বে, সেটা সে নিজেই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে। কখন খেলবে, সেই সিদ্ধান্তও সে সবচেয়ে ভালো নিতে পারবে। আমার মনে হয়, তামিম বুঝে-শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটাকে সম্মান জানাতেই হবে।’

এআরবি/এমএমআর/এমএস

Read Entire Article