ঋণ জালিয়াতি: এবি ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৬ জনের নামে মামলা
বিধিবহির্ভূতভাবে এবি ব্যাংকের রাজধানীর গুলশান শাখা থেকে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন—ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী হায়দার রতন, ব্র্যান্ড শেয়ার ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান, পরিচালক মামুনুর রশীদ, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এহতেশাম হায়দার চৌধুরী, এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আলাউদ্দিন সরকার ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিয়াজ আল ফায়েদ। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা যোগসাজশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড শেয়ার ট্রেডিং লিমিটেডকে বড় ব্যবসায়ী হিসেবে দেখিয়ে ব্যাংকের নিয়মনীতি বহির্ভূতভাবে ৩৫০ কোটি টাকার লিমিট অনুমোদন নেয়। পরবর্তীতে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক না হয়েও আসামি মোহাম্মদ আলী হায়দার
বিধিবহির্ভূতভাবে এবি ব্যাংকের রাজধানীর গুলশান শাখা থেকে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী হায়দার রতন, ব্র্যান্ড শেয়ার ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান, পরিচালক মামুনুর রশীদ, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এহতেশাম হায়দার চৌধুরী, এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আলাউদ্দিন সরকার ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিয়াজ আল ফায়েদ।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা যোগসাজশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড শেয়ার ট্রেডিং লিমিটেডকে বড় ব্যবসায়ী হিসেবে দেখিয়ে ব্যাংকের নিয়মনীতি বহির্ভূতভাবে ৩৫০ কোটি টাকার লিমিট অনুমোদন নেয়। পরবর্তীতে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক না হয়েও আসামি মোহাম্মদ আলী হায়দার রতনের নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে ১৬.১৩ কোটি টাকা পারফরম্যান্স গ্যারান্টি (পিজি) ইস্যু করা হয়। এতে ব্যাংকের সম্পদ ঝুঁকির মুখে পড়ে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নামসর্বস্ব বা কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে বড় প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে ব্যাংক লোন ও সুবিধা অনুমোদন নেন। ব্যাংকের নিয়মনীতি বহির্ভূতভাবে অংশীদারি চুক্তির ভিত্তিতে অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে পিজি সুবিধা প্রদান ও গ্রহণ করা হয়। এতে ব্যাংকের বিপুল অঙ্কের অর্থ বেহাত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিধিবহির্ভূতভাবে ৩৫০ কোটি টাকার লিমিট সুবিধা অনুমোদন এবং ১৬.১৩ কোটি টাকার পারফরম্যান্স গ্যারান্টি ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ বেহাতের চেষ্টা করেছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এসএম/এমকেআর/এমএস
What's Your Reaction?