কক্সবাজার দোহাজারী প্রকল্পের আওতায় নতুন ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনার টেন্ডারের বিষয়ে নানা বিতর্ক নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন। এ বিষয়ে আজ সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
মাহবুব কবীর মিলন লিখেছেন, ‘মাননীয় রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আপনি কক্সবাজার দোহাজারী প্রকল্পের আওতায় নতুন ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনার টেন্ডারের বিষয়ে নানান বিতর্ক ওঠায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জনাব শেখ মইনউদ্দিন এঁর নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি করে দিয়েছিলেন। বুয়েটের একজন অধ্যাপক, মেট্রোরেলের একজন প্রতিনিধি এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিতর্ক ছিল এবং তা এখনো বহাল আছে। আমরা অভিযোগ করেছি, কয়েকবছর আগে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম থেকে কেনা নিম্নমানের ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন, যা দুই বছরেই সবগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। যা সরকারের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির কারণে সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গতকাল দুদকে মামলা দায়ের করা হয়েছে, একটি দুর্নীতিবাজ চক্র নতুন ৩০ এমজি ইঞ্জিনের টেন্ডারের শর্ত এমনভাবে নির্ধারণ করার চেষ্টা করছে, যাতে এই নতুন ৩০ ইঞ্জিনও কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম থেকে আবার সেই নিম্নমানের ইঞ্জিন ক্রয় করা যায়। যাতে অন্য কোনো দেশ টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে না পারে।
কাজেই স্যারেরা এরকম কিছু হলে সাথে সাথেই দুদকে সবাই মামলা খাবেন এটা নিশ্চিত। জনগণের টাকা আর কপালের শ্রাদ্ধ করবেন, সেটা আর হতে দেওয়া হবে না। এরমধ্যেই রেলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে দুদকে। যা আগে কখনো হয়নি। কেবল শুরু।
আরও পড়ুন
আইন হবে জনগণের কল্যাণে: মাহবুব কবীর মিলন
বিশেষ ব্যবস্থায় আমরা পরীক্ষা নিতেই পারি: মাহবুব কবীর মিলন
আপনারা কি জানেন, আগের ৩০ ইঞ্জিনের দাম ছিল একটির ৩২ কোটি টাকা। এবার নতুন ইঞ্জিনের একটির দাম ধরা হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। যা আগের চেয়ে ৫০ কোটি টাকা বেশি।
আপনারা কি জানেন, এই নতুন ৩০ ইঞ্জিনের ডিপিপি পাস করা হয়েছে ইঞ্জিনের কোনো স্পেসিফিকেশন ছাড়া! ডিপিপিতে স্পেসিফিকেশনের ঘর ফাঁকা রাখা হয়েছিল, যা জগতে বিরল।
আপনারা কি জানেন, এই নতুন ৩০ ইঞ্জিনের টেন্ডার শিডিউল এডিবির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল ইঞ্জিনের স্পেসিফিকেশন ঘর ফাঁকা রেখে। যা জগতে বিরল।
আপনাদের সবার জন্য অগ্রীম শুভেচ্ছা। যাতে ভবিষ্যতে মামলা খেতে না হয়। এই দেশ আমাদের সবার। কিন্তু তা হয়ে গেছে দুর্নীতিবাজদের। আফসোস।’
সূত্র: মাহবুব কবীর মিলনের লেখার লিংক এখানে-
এসইউ/এএসএম