‘এইচআইভি’ সচেতনতার ছবিতে সালমানের পারিশ্রমিক ১ টাকা

বলিউডে যখন সুপারস্টারদের পারিশ্রমিক নিয়ে কোটি-কোটি টাকার হিসাব, ঠিক তখনই এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তে আলোড়ন তুলেছিলেন সালমান খান। ক্যারিয়ারের শীর্ষ সময়ে দাঁড়িয়ে, ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফির মিলেঙ্গে’ সিনেমায় একজন এইচআইভি পজিটিভ যুবকের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ভেঙে দিয়েছিলেন নিজের চেনা ইমেজ। আর এবার সেই সিনেমা ঘিরেই প্রকাশ্যে এলো এক অবাক করা তথ্য—জনসচেতনতামূলক এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে সালমান খান নিয়েছিলেন মাত্র ১ টাকা। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে সিনেমার প্রযোজক শৈলেন্দ্র সিং এ বিষয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন।  তিনি জানান, সেই সময়ে বলিউডে এইচআইভি বা এইডসের মতো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কাজ করা ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বড় তারকারা যখন পর্দায় নিজেদের নায়কসুলভ ভাবমূর্তি ধরে রাখতে ব্যস্ত থাকতেন, তখন সালমান সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এই চরিত্রে রাজি হন। মূলত এই রোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বিশেষ করে যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যেই তিনি কাজটি করেছিলেন। প্রযোজক বলেন, ‘সালমান যেখানে তৎকালীন সময়ে বলিউডের সুপারম্যান, সেখানে তিনি এমন এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন যার পরিণতি ছিল মৃত্যু। সাধারণত

‘এইচআইভি’ সচেতনতার ছবিতে সালমানের পারিশ্রমিক ১ টাকা
বলিউডে যখন সুপারস্টারদের পারিশ্রমিক নিয়ে কোটি-কোটি টাকার হিসাব, ঠিক তখনই এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তে আলোড়ন তুলেছিলেন সালমান খান। ক্যারিয়ারের শীর্ষ সময়ে দাঁড়িয়ে, ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফির মিলেঙ্গে’ সিনেমায় একজন এইচআইভি পজিটিভ যুবকের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ভেঙে দিয়েছিলেন নিজের চেনা ইমেজ। আর এবার সেই সিনেমা ঘিরেই প্রকাশ্যে এলো এক অবাক করা তথ্য—জনসচেতনতামূলক এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে সালমান খান নিয়েছিলেন মাত্র ১ টাকা। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে সিনেমার প্রযোজক শৈলেন্দ্র সিং এ বিষয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন।  তিনি জানান, সেই সময়ে বলিউডে এইচআইভি বা এইডসের মতো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কাজ করা ছিল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বড় তারকারা যখন পর্দায় নিজেদের নায়কসুলভ ভাবমূর্তি ধরে রাখতে ব্যস্ত থাকতেন, তখন সালমান সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এই চরিত্রে রাজি হন। মূলত এই রোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বিশেষ করে যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যেই তিনি কাজটি করেছিলেন। প্রযোজক বলেন, ‘সালমান যেখানে তৎকালীন সময়ে বলিউডের সুপারম্যান, সেখানে তিনি এমন এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন যার পরিণতি ছিল মৃত্যু। সাধারণত জনপ্রিয় নায়করা সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় চরিত্রে দাপটের সঙ্গে থাকতে চান। কিন্তু সালমান নিজের ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ইমেজের কথা চিন্তা না করে কেবল মহৎ উদ্দেশ্যে ছবিটি করেছিলেন।‘ সব মিলিয়ে, সালমান খানের এই সিদ্ধান্ত আবারও প্রমাণ করে,পর্দার বাইরেও তিনি কেবল একজন সুপারস্টার নন, বরং মানবিক দায়বদ্ধতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ। তার অভিনয় যেমন দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তেমনি নীরব দানশীলতা ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ তাকে আলাদা করে তোলে বলিউডে। ‘ফির মিলেঙ্গে’–এর জন্য প্রতীকী এক টাকার পারিশ্রমিক গ্রহণ সেই মানবিক মানসিকতারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা আজও তার ব্যক্তিত্বের গভীরতা স্মরণ করিয়ে দেয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow