এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে প্রচার, শিক্ষা বোর্ডের বক্তব্য

3 weeks ago 7

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ১২ অক্টোবর প্রকাশিত হবে, এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

জানা যাচ্ছে, এটিকেই ফল প্রকাশের চূড়ান্ত তারিখ ধরে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন লাখও শিক্ষার্থী।

তবে শিক্ষা-সংশ্লিষ্টদের ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং বাণিজ্যে জড়িতরা ফল প্রকাশের তারিখ ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিংমুখী করার কূটকৌশল করতে পারে।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তারা বলছেন, ফল প্রকাশের এ তারিখটি ‘ভুয়া’। এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়, বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে ফেসবুকের বেশ কয়েকটি পেজ, আইডি ও গ্রুপ থেকে ‘আগামী ১২ অক্টোবর (রোববার) চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফল প্রকাশিত হবে’—এমন তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ পেজগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে কয়েক লাখ করে ফলোয়ার রয়েছে। তাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী।

জানা যায়, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে তিন দফায় এ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

ফলে পরীক্ষা শেষ হতে ৯ দিন বেশি সময় লেগেছে। অর্থাৎ ১৯ আগস্ট এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখটি ভুয়া। এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি সিদ্ধান্তও হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণত লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এ জন্য কেউ হয়তো এভাবে একটি তারিখ হিসাব কষে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে।’

গত ২৬ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী।

তবে পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই প্রায় ২৬ হাজার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছেন। বিষয়ভেদে অনুপস্থিতির এ হার কোনোদিন কিছুটা বেড়েছে, আবার কোনো দিন কিছুটা কমেছেও।

Read Entire Article