একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি সিম থাকলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে বাড়তি সিম বন্ধ করা শুরু করবে অপারেটরগুলো। ডিসেম্বর মাসজুড়ে এ কাজ চলবে।
২০২৬ সালের জানুয়ারিতে দেশে একটি এনআইডির বিপরীতে ১০টির বেশি সিম চালু রাখা যাবে না। এতে দেশে বিদ্যমান ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যাবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, গ্রাহকের সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে অনিবন্ধিত বা অতিরিক্ত সিম ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করছি।
এর আগে গত ৩০ জুলাই বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, একজন ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম থাকলে অতিরিক্ত সিমগুলো আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে ডি-রেজিস্ট্রার করতে হবে। *১৬০০১# ডায়াল করে নিবন্ধিত সিমের তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানায় বিটিআরসি।

বিটিআরসি সূত্র জানায়, আগে একজন গ্রাহক একটি এনআইডির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারতেন। গত মে মাসে আন্তর্জাতিক অনুশীলন ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ বিবেচনা করে একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ নিবন্ধনযোগ্য সিম সংখ্যা ১৫ থেকে কমিয়ে ১০টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিটিআরসির সিদ্ধান্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠালে তাতে অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে সর্বোচ্চ ১০টি সিমই নিবন্ধন করা যাবে।
সংস্থাটি আরও জানায়, সর্বোচ্চ ১০টি ব্যক্তিগত সিম নিবন্ধনের সীমা নির্ধারণ করা হলে প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের মোট ৬৭ লাখ সিম বন্ধ করতে হবে।
এএএইচ/এমআইএইচএস/এমএস

2 hours ago
3









English (US) ·