হাতে ছিল ৮ উইকেট। সেই জায়গা থেকে শেষ ৭৮ বলে আরও ৬ উইকেট হারিয়ে মোটে ৭৭ রান নিতে পারলো বাংলাদেশ। স্লগ ওভারে এমন বাজে ব্যাটিং দেখার দুর্ভাগ্য হলো সমর্থকদের। দুই ওপেনারের দেশের দ্বিতীয় সেরা জুুটির পরও ৮ উইকেটে ২৯৬ রানে থামলো বাংলাদেশ। অর্থাৎ সিরিজ জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ২৯৭।
বলতে গেলে দুই ওপেনারের কষ্ট জলাঞ্জলি দিয়েছেন পরের ব্যাটাররা। ২৫.২ ওভারের ওপেনিং জুুটিতে ১৭৬ রান তুলে ফেলেছিলেন সাইফ হাসান আর সৌম্য সরকার। তখন মনে হচ্ছিল, স্কোর অনায়াসে সাড়ে তিনশ হয়ে যাবে। হলো না।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। সিরিজে প্রথমবারের মতো দুই ওপেনার খেলেছেন দারুণ আস্থার সঙ্গে। ৯৩ বলে ১০০ আর ১২৮ বলেই ১৫০ রানের জুটি গড়েন তারা।
সৌম্য-সাইফের মারকুটে এই ওপেনিং জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙে ১৭৬ রানে। এটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডটি তামিম ইকবাল আর লিটন দাসের। ২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে এই জুটি গড়েছিলেন তারা।
সৌম্য-সাইফ পেছনে ফেলেছেন শাহরিয়ার হোসেন আর মেহরাব হোসেনের ১৯৯৯ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গড়া ১৭০ রানের জুটির রেকর্ড।
তবে দুজনই ফিরেছেন আক্ষেপ নিয়ে। সাইফ আউট হয়েছেন ৭২ বলে ৮০ করে। মারকুটে ইনিংসে ৬টি করে চার-ছক্কা হাঁকান সাইফ। রস্টন চেজের বলে হাঁকাতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দিয়ে নিজের দোষেই ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
সৌম্য গিয়েছিলেন আরও কাছে। ব্যক্তিগত ৯১ রানে আকিল হোসেনকে বড় শট খেলতে দিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মাত্র ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন সৌম্য। ৮৬ বলের ইনিংসে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার।
দুই ওপেনার ফেরার পর রানের গতি কমে আসে বাংলাদেশের। বিশেষ করে তাওহিদ হৃদয় খেলেছেন খুবই ধীরগতিতে। একটা সময় মারকুটে হতে যান, একটি বাউন্ডারিও হাঁকান। কিন্তু এক বল পরেই স্লগ সুইপে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ। ৪৪ বলে মাত্র ২ বাউন্ডারিতে ২৮ করেন হৃদয়।
শান্তও খুব ভালো খেলেছেন বলা যাবে না। বারকয়েক ক্যাচ-স্টাম্পিং মিস করে ক্যারিবীয়রা। তবে যে বলটি মিস করার কথা, সেটি আর মিস করেনি। অলিক আথানাজের বলে শট খেললে বল আকাশে উঠে যায়। আথানেজে নিজেই অনেকটা দৌড়ে গিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন। ৫৫ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে শান্ত ছক্কা হাঁকান ৩টি।
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ব্যাট পরিবর্তন করেছিলেন। পরের বলেই তিনি বোল্ড হন আকিল হোসেনের বলে। ১০ বল খেলে করেন মাত্র ৬ রান। রিশাদ হোসেনও প্রমোশন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি। ৬ বলে ৩ করে ফিরতে হয় তাকে। পারেননি নাসুম আহমেদও (১)। ৯ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের বল সমান ১৭ আর নুরুল হাসান সোহানের ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৬ রানে ভর করে তিনশোর কাছাকাছি গেছে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন ৪১ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪টি উইকেট।
এমএমআর/জেআইএম