সময়টা ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের তালুকদার হাট সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে গাছবাহী নৌকার ধাক্কায় ভেঙে পড়ে ২২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি আইরন সেতু। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি সেতুটি। ফলে রাজাপুর ও পাশের কাউখালী উপজেলা এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
যাত্রীবাহী গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে এলাকার সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৬০০ মানুষ চলাচল করতেন। হাট-বাজারে বিক্রির জন্য এ পথে কৃষিসহ নানা পণ্য পরিবহন করা হতো। তবে সেতুটি ভেঙে পড়ার পর যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, নদীটি দিয়ে নিয়মিত বালুবাহী জাহাজ চলাচল করে। এসব জাহাজের ধাক্কায় কয়েক মাস আগে থেকেই সেতুর মাঝামাঝি অংশে ফাটল দেখা দেয়। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোরে একটি গাছবাহী নৌকা সেতুর পিলারে ধাক্কা দিলে মাঝের অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এসময় নৌকাটি সেতুর নিচে চাপা পড়লেও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
গোলাম মোস্তফা, জাহিদুল ইসলাম, আবু ইউসুফ, আনোয়ার মিলন ও মামুনসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানানো হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী সমাধান মেলেনি। দ্রুত সেতু নির্মাণ না হলে এলাকার পণ্য পরিবহন ও মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম সরকার বলেন, বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে চিহ্নিত আছে। প্রাক্কলন তৈরি করে বরাদ্দ চাওয়া হবে। বরাদ্দ পেলেই টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
মো. আতিকুর রহমান/এসআর/জেআইএম