এক সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় যশোরের তিন রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যু

6 days ago 10

মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে গত এক সপ্তাহে যশোরের মোট তিনজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ও একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

মৃতরা হলেন, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের আবু দাউদের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪৫)। তিনি গত রোববার (১০ নভেম্বর) একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপরজন হলেন মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের ঝাঁপা গ্রামের আব্দুল মজিদ (৪৫)। তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময় ঘুমের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ঝাঁপা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মজিদ গত ৫-৭ বছর আগে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন তিনি। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমান মজিদ। রাতের কোনো এক সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে কাজে যাওয়ার জন্য তার সঙ্গীরা তাকে ডাকাডাকি করেন। তখন মৃত অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখতে পান তারা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতালে হিমঘরে রয়েছে। আব্দুল মজিদের মৃত্যুর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু মুছা নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া পেনাং শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন মিন্টু হোসেন (৪৫) নামে আরেক প্রবাসী। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মালয়েশিয়ার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেদুর রহমান টিটো এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মিন্টু হোসেন মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের আমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়ায় যান মিন্টু হোসেন। মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন তিনি। গত ২-৩ নভেম্বর কাজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মিন্টু হোসেন। সেই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে হাসপাতালেই মৃত্যুবরণ করেন।

তিন রেমিট্যান্স যোদ্ধার অকাল মৃত্যুতে প্রতিটি পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের স্বজনরা অপেক্ষায় আছেন তাদের প্রিয়জনের মরদেহের জন্য। মরদেহ তিনটি বাংলাদেশে আনার সকল আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।

মিলন রহমান/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article