এক হারানো গণতন্ত্র উদ্ধারের প্রতিচ্ছবি

2 hours ago 4

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ। প্রায় চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন, সংগ্রাম, শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখানে মিলেমিশে এক অনন্য সত্তা তৈরি করে আছে। এই সত্তাকে গণতান্ত্রিক কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জন্ম হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)।কিন্তু দুঃখজনকভাবে বহু বছর ধরে রাকসু নির্বাচন স্থবির হয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ হারাচ্ছে। দীর্ঘ ৩৬ বছর স্থগিত থাকার পর আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।যেখানে সর্বমোট ২৫টি পদের জন্য এবং হলের প্রার্থীসহ মোট ৭৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপটে তাই রাকসু নির্বাচন কেবল একটি শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচনের বিষয় নয় বরং এটি হয়ে উঠেছে এই উচ্চশিক্ষাঙ্গনে হারানো গণতন্ত্রের কাহিনী এবং একইসঙ্গে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।

রাকসুর জন্ম ও সোনালি অধ্যায় আজকের প্রজন্মের অনেকের কাছে অজানা। রাকসুর সূচনা হয়েছিল ষাটের দশকে, যখন শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা ও দাবিদাওয়া একত্রে উপস্থাপনের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন অনুভব করেছিল। স্বাধীনতার পূর্বে ও পরের আন্দোলন সংগ্রামে রাকসুর ছাত্রনেতারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধপূর্ব সময়ে রাজনৈতিক চেতনা বিকাশ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার হওয়া কিংবা শিক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সবক্ষেত্রেই রাকসুর ইতিহাস গৌরবময়।

রাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) ছিলেন মনিরুজ্জামান মিয়া(সাবেক ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) এবং প্রথম সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক খান। এক তথ্যে জানা যায়, ‘১৯৫৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফে. ড. ইতরাৎ হোসেন জুবেরীর কাছে ছাত্র সংসদের দাবি উত্থাপন করা হলেও ১৯৫৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের হস্তক্ষেপে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ঐ বছরই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথম ভিপি হিসেবে মনিরুজ্জামান মিয়া ও জিএস হিসেবে আব্দুর রাজ্জাক খান নির্বাচিত হন।’

১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পরে এখন পর্যন্ত মোট ১৪ বার রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়, ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়া সামরিক শাসনের জন্য ১৯৭৫-১৯৮০ এবং ১৯৮১-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত ছিল। রাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন ১৯৮৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ভিপি এবং রুহুল কুদ্দুস বাবু জিএস হিসেবে নির্বাচিত হন।এর পূর্বে ১৯৮৮ সালে রাবি-তে আমাদের সমাজকর্ম বিভাগের সাবেক ছাত্র রাগীব আহসান মুন্না রাকসুর নির্বাচিত ভিপি ছিলেন।

আশির দশক পর্যন্ত রাকসু ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণকেন্দ্র। সিট সংকট, টিউশন ফি বৃদ্ধি, সেশনজট, পাঠ্যক্রম সংস্কার, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রমের বিস্তার, এসব প্রশ্নে রাকসু শিক্ষার্থীদের পক্ষে সোচ্চার থেকেছে। বলা যায়, রাকসুর মঞ্চ ছিল শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের এক বলিষ্ঠ হাতিয়ার।

গৌরবের পাশাপাশি রাকসুর ইতিহাসে আছে দীর্ঘ বঞ্চনার অধ্যায়। সেটা এর নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বেদনা। আশির দশকের পর থেকে ধীরে ধীরে রাকসুর কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। জাতীয় রাজনীতির দলীয়করণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে। ছাত্রসংগঠনগুলো নিজেদের দলীয় আধিপত্য বিস্তারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ফলে শিক্ষার্থীদের সার্বিক স্বার্থ থেকে তারা সরে আসে। সহিংসতা, সংঘাত, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক চাপ সব মিলিয়ে রাকসুর নির্বাচন ধীরে ধীরে স্থগিত হয়ে পড়ে।

আজ ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে এসে প্রশ্ন জাগে ১৯৮৯ সালের পর ৩৬ বছর ধরে কেন রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো না? কারণ একদিকে প্রশাসন শঙ্কিত ছিল, নির্বাচনের ফলে শিক্ষার্থীদের শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব তৈরি হবে, যা প্রশাসনের জবাবদিহি বাড়াবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো ভয় পেত, নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হয়তো দলীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে সত্যিকারের ছাত্রকল্যাণে কাজ করবে।

ফলে নানা অজুহাতে রাকসুর নির্বাচন পিছিয়ে যেতে থাকে, এবং শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের একটি প্রজন্ম রাকসু কী তা কেবল বইয়ে পড়ে বা প্রবীণদের মুখে শুনেই জেনে গেছে।

জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর পর থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চনা ও ক্ষোভ সংগঠিত আকারে আওয়াজ হিসিবে প্রকাশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। আজকে দেশের সকল উচ্চশিক্ষাঙ্গনে ধারাবাহিকভাবে ছাত্রসংসদের নির্বাচনের আয়েজন সেই সমন্বিত কন্ঠস্বরের ফল হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের মনে রাখতে হবে রাকসু নির্বাচন ২০২৫ কেবল একটি প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন নয়। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরীক্ষাক্ষেত্র। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্রের কণ্ঠস্বর হারিয়েছে। আজ তারা সেই হারানো গণতন্ত্র ফেরত চাইছে। যদি রাকসু নির্বাচন স্বচ্ছভাবে হয় তবে এটি হবে একটি নতুন সূচনা যা শিক্ষার্থীদের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, এমনকি দেশের গণতন্ত্রের জন্যও। আর যদি না হয় তবে এটি থেকে যাবে এক বেদনাদায়ক স্মৃতি, হারানো গণতন্ত্রের কাহিনী, যার ভবিষ্যৎ আর কোনোদিন বাস্তবায়িত হবে না। তাই মেধাবী তরুণদের সম্ভাবনাময় উজ্জল ভবিষ্যতের কামনায় একটি সুষ্ঠু ও সফল রাকসু নির্বাচন সবার কাম্য হোক।

বহুবছর ধরে রাকসু নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা যে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে তা বহুমাত্রিক। প্রথমত, তারা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি হারিয়েছে। ফলে আবাসন সংকট, সিট বাণিজ্য, পরিবহন ঘাটতি, টিউশন ফি বৃদ্ধি, নিরাপত্তাহীনতা বা শিক্ষার মান উন্নয়ন এসব সমস্যায় শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর আর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উচ্চারিত হচ্ছে না।

দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে। যারা আগামী দিনের সমাজ ও জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতেন, তারা আজ সে সুযোগ হারাচ্ছেন। তৃতীয়ত, গণতন্ত্রের অনুশীলন থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি অনুপস্থিত থাকলে সমাজেও গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে।

তাই সময় সময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে, স্মারকলিপি দিয়েছে, এমনকি আদালতের দিকেও তাকিয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকবারই অজুহাত ছিল নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ, বাজেট সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি। আসলে এগুলো ছিল প্রশাসন ও রাজনৈতিক শক্তির কৌশল মাত্র।

বর্তমান প্রেক্ষাপট ২০২৫ সালে এসে জানুয়ারী মাস থেকেই রাকসু নির্বাচন আবারো আলোচনায় এসেছে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কেবল ক্যাম্পাসের মাঠে নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিজেদের দাবি প্রকাশ করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে যে, নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া সমস্যার সমাধান অসম্ভব।

অন্যদিকে, জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটও পরিবর্তন হচ্ছে। গণতন্ত্রের সঙ্কট, নির্বাচনী প্রহসন, মতপ্রকাশের সীমাবদ্ধতা এসব পরিস্থিতিতে রাকসু নির্বাচনের দাবি আরও জোরদার হয়েছে। কারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে, রাকসুর মাধ্যমে তারা অন্তত একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা পাবে, যা দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে পুনর্জীবিত করতে পারে। এজন্যই সেপ্টম্বর ২৫ ২০২৫-এ রাকসু ভোটের আয়োজন সফল হতে যাচ্ছে।

রাকসুর অতীত বনাম বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে অতীতে রাকসু ছিল সংগ্রাম, নেতৃত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক। আজ সেটি এক হারানো প্রতিষ্ঠান, যা শিক্ষার্থীদের মনে বেদনা জাগায়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাকসু আবারো আলোচনায় আসছে নতুন সম্ভাবনার কারণে। অতীতে রাকসু নির্বাচনী প্রচারণায় স্লোগান, পোস্টার, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুরো ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে তুলত। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রাকসুর দাবি তুলছে, অনলাইন পিটিশন করছে, সচেতনতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। অতীতের রাকসু শারীরিক উপস্থিতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের একত্র করত, আর বর্তমান প্রজন্মের রাকসু আন্দোলন ভার্চুয়াল ও বাস্তব উভয় মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে।

আর কয়েকদির বাদে রাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ এঁকে দিতে পারে। যদি ২০২৫ সালে রাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে তবে এর প্রভাব হবে ইতিবাচক ও বহুমাত্রিক। এতে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবে। নতুন মেধাবী তরুণদের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে। নতুন প্রজন্মের ছাত্র ছাত্রী নেতারা আগামী দিনের জাতীয় নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জবাবদিহির আওতায় আসবে যা শিক্ষা ও সেবার মান উন্নত করবে।এতে করে জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা যাবে যে শিক্ষার্থীরা সত্যিকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

তবে এই সম্ভাবনার বাস্তবায়ন নির্ভর করছে প্রশাসনের সদিচ্ছা ও রাজনৈতিক চাপমুক্ত পরিবেশের ওপর। যদি নির্বাচন কেবল প্রহসনে পরিণত হয়, তবে রাকসু আরেকটি নামমাত্র প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

রাকসু নির্বাচন ২০২৫ তাই হারানো গণতন্ত্রের কাহিনী ও সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই নির্বাচন আসলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতিচ্ছবি। বহু বছর ধরে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে, তাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে, নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্র সংকুচিত করা হয়েছে। কিন্তু আজকের প্রজন্ম আবারও সেই হারানো গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখছে।

যদি রাকসু নির্বাচন সত্যিকার অর্থে অনুষ্ঠিত হয়, তবে তা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয় বরং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্যও একটি বড় অর্জন হবে। তাই ২০২৫ সালের রাকসু নির্বাচন কেবল একটি ছাত্রসংগঠনের নির্বাচন নয়। এটি হলো গণতন্ত্রের হারানো বীজ পুনরায় বপনের সংগ্রাম, যা একদিন জাতীয় পরিসরে মুক্তচিন্তা ও সুশাসনের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

আমাদের মনে রাখতে হবে রাকসু নির্বাচন ২০২৫ কেবল একটি প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন নয়। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরীক্ষাক্ষেত্র। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্রের কণ্ঠস্বর হারিয়েছে। আজ তারা সেই হারানো গণতন্ত্র ফেরত চাইছে। যদি রাকসু নির্বাচন স্বচ্ছভাবে হয় তবে এটি হবে একটি নতুন সূচনা যা শিক্ষার্থীদের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, এমনকি দেশের গণতন্ত্রের জন্যও। আর যদি না হয় তবে এটি থেকে যাবে এক বেদনাদায়ক স্মৃতি, হারানো গণতন্ত্রের কাহিনী, যার ভবিষ্যৎ আর কোনোদিন বাস্তবায়িত হবে না। তাই মেধাবী তরুণদের সম্ভাবনাময় উজ্জল ভবিষ্যতের কামনায় একটি সুষ্ঠু ও সফল রাকসু নির্বাচন সবার কাম্য হোক।

লেখক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন। E-mail: [email protected]

এইচআর/এমএস

Read Entire Article