একরাতে ১০ বাড়িতে সিঁধ কেটে চুরি, আতঙ্কে এলাকাবাসী

2 hours ago 5
চাঁদপুরের মতলব পৌরসভা এলাকায় তিনটি গ্রামে ১০টি বসতঘরে সিঁধ কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। নির্ঘুম আতঙ্ক এলাকাবাসীর।  রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল সনাতন পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গ করে ১০টি ঘরে সিঁধ কেটে হানা দিয়ে মোবাইল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার রাতে নবকলস গ্রামের রাজমিস্ত্রি হাবিব উল্লাহ, সোবহান, উত্তর নলুয়া গ্রামের সুশীল, বাশার বেপারির ঘরে সিঁধেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া একই রাতে মোবারকদী গ্রামের লোকমান গাজীর ঘরে, আবুল হাসেম প্রধানীয়ার ঘরে, জয়দল গাজীর ঘরে ও মাস্টার বাড়ির খালেকের ঘরে সিঁধেল চুরির ঘটনা ঘটে।  স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানান, সিঁধেল চোররা ‘সিঁধকাঠি’ নামে এক ধরনের শাবল বা খুন্তির মতো দণ্ড ব্যবহার করে সুড়ঙ্গ করে ঘরের ভেতরে ঢুকে মোবাইল, স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। নবকলস গ্রামের ভুক্তভোগী সুশীল বলেন, ‘আমার ঘরের দুটি জায়গা সুড়ঙ্গ করে ভেতরে ঢুকে মোবাইল ও বেশ কিছু পোশাক নিয়ে গেছে।’ কামাল উদ্দিন বিপ্লব বলেন, ‘এ ঘটনার পর পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নব্বইয়ের দশকের এ ধরনের ঘটনা এ এলাকায় হয়নি।’ স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল হক বলেন, ‘এভাবে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা আমাদের এলাকায় বহু বছর হয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পুলিশের টহল আরও জোরদার করা দরকার। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা গভীর রাত রাস্তার আনাচে-কানাচে ঘোরাঘুরি করে। এ চুরির ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত থাকতে পারে।’ এলাকাবাসী দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মতলব থানার ওসি মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ বলেন, চুরির ঘটনা সম্পর্কে কেউ থানায় জানায়নি। চুরির সংবাদ শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।  
Read Entire Article