সংগীতশিল্পী ইসলাম মানিক। ১৯৯৯ সালে ‘মন্দিরা’ নামের একটি ব্যান্ডের মাধ্যমে তার সংগীতযাত্রা শুরু। এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গান গেয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন নিজস্ব শ্রোতামহল।
২০০৮ সালে ‘সঙ্গীতা’র ব্যানারে প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘মেঘলা মেয়ে’। ফোয়াদ নাসের বাবু ও বাপ্পা মজুমদারের সংগীতায়োজনে তৈরি অ্যালবামের ‘মেয়ে তোমার আমি বন্ধু হব’, ‘বন্ধুরে’ ও ‘মাওলা’ গানগুলো তৎকালীন সময়ে শ্রোতাদের মধ্যে দারুণ আলোড়ন তোলে।
এরপর ২০১৬ সালে মুক্তি পায় তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘মন ঘুড়ি’। এ অ্যালবামেও ছিল একাধিক জনপ্রিয় গান- ‘আলো’, ‘ভেবে না পাই’ ও ‘চলে যেও না’। ওই বছরই জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে তিনটি আন্তর্জাতিক কনসার্টে অংশ নেন ইসলাম মানিক ও তার দল ‘টিম অফ ইসলাম মানিক’। বিদেশের মাটিতেও প্রশংসিত হন তিনি।
তবে একই বছর হারান তার মা ও বোনকে। ব্যক্তিগত এই শোক অনেকটাই থমকে দেয় মানিককে। সংগীত থেকে নেন দীর্ঘ বিরতি। প্রায় চার বছর অনিয়মিত ছিলেন গানে।
২০২০ সালে করোনা মহামারির ভয়াবহ সময়েই গানে ফেরেন ইসলাম মানিক। শুরু করেন নিজের লেখা ও সুরে সচেতনতামূলক গান প্রকাশ। সেই থেকে আবার নিয়মিত হয়ে উঠেছেন সংগীতে। বর্তমানে নতুন গানের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন এই শিল্পী। সম্প্রতি তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন আরটিভি আয়োজিত ‘মিউজিক লাউঞ্জ’ অনুষ্ঠানের একটি গানে। পাশাপাশি একাধিক গান রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। শিগগিরই গানগুলো নিয়ে হাজির হবেন তিনি।
মানিক বলেন, ‘আমি চাই আমার গান মানুষকে আনন্দ দিক, শান্তি দিক। গান দিয়ে যদি মানুষের মনে আশার আলো জ্বালাতে পারি, তাহলেই সার্থক হবে আমার সংগীত জীবন। এখন আবার নিয়মিত গাইছি। চাই সবার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পাশে থাকুক।’
মানিক জানান, কিছু গান রেকর্ডিংয়ের প্রস্তুতি চলছে। কয়েকটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণের পরিকল্পনাও করছেন তিনি।
এলআইএ/জেআইএম