ছয় দশকের বেশি পথচলায় হাজার হাজার গানের সম্ভার গড়ে তুলেছে ছায়ানট। সেসব গানের অডিও এবং সাম্প্রতিককালের ভিডিও থেকেই মূলত কন্টেন্টগুলো তৈরি করা হবে। এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে করতেই সব অনুষ্ঠান-আয়োজন ফেসবুকে লাইভ করতে শুরু করেছে ছায়ানট। লাইভ আয়োজনগুলোও একযোগে প্রচার করা হবে পরিকল্পিত সব নতুন মাধ্যমে। নিয়মিত নতুন কন্টেন্ট প্রকাশ হবে প্রতিদিন সকাল ৯টায়। প্রাথমিক এ আয়োজনের নাম ‘জাগরণী’।
শনিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ছায়ানট আয়োজিত রমেশচন্দ্রদত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা। এছাড়াও অংশ নেন নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী, যুগ্ম সম্পাদক পার্থ তানভীর নভেদ, যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত রায়। সংগীত বিদ্যায়তনের শিক্ষক অভিজিৎ কুন্ডু দীপ্র নিশান্ত, কার্যালয় প্রতিনিধি অনিন্দ্য রহমান, দুলাল ঘোষ, মুনরবী অমিয় মুহাম্মদ, সুব্রত সাহা।
বক্তারা বলেন, ছায়ানট বিশ্বাস করে, মানব জীবনের সব আঁধার থেকেই জাগরণের প্রয়োজন। মতাদর্শ বা বিশ্বাসে, মানুষে মানুষে, সমাজে সমাজে যতই মতভেদ থাকুক, দ্বন্দ্ব থাকুক- আজ এ পৃথিবীটা ছুটছে বিশ্বায়নের পথে। তবে ছায়ানট যেমন বিশ্বসমাজের বিচিত্র সংস্কৃতির সুরভি আস্বাদন করে তার অংশী হতে চায়, তেমনই চায় আপন সামাজিক গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক বাঙালি সংস্কৃতির সুবাতাস।
প্রতিটি ক্ষণে অগ্রসরমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে, এই বিবর্তনের কালে, নিজের মাধুর্য ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া।
আমরা সৎ-সুন্দর আলোর অভিযাত্রী। জেগে উঠি জেগে থাকি, দেশের টানে, জীবনের টানে, প্রাণের গানে এভাবেই সবাইকে আহ্বান জানান বক্তারা।
বাঙালির বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের পয়লা দিন থেকে প্রতি সকালে একযোগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স এবং ইউটিউব চ্যানেলে একটি করে কন্টেন্ট প্রকাশ করবে ছায়ানট। প্রথম কন্টেন্ট জাতীয় সংগীত। সমমনা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন- নালন্দা, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, কণ্ঠশীলন ও ব্রতচারীর সহযোগিতায় হাজারো মানুষ তার দৃশ্যধারণে অংশ নিয়েছে, কণ্ঠ মিলিয়েছে। নাম-নকশা করেছেন ছায়ানট সদস্য সুজন চৌধুরী। জাতীয় সংগীত নিয়ে সূচনা পর্বের প্রযোজনা করেছেন আমিনুল ইসলাম ও টুকু মজনিউল।