ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৪ জন। হতাহতরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ যোগ দিতে যশোর থেকে ঢাকা আসছিলেন।
শনিবার (২৮ জুন) ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের সিংপাড়া-নওয়াপাড়া ও হাসাড়া ব্রিজ-২-এর মধ্যবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ জাগো নিউজকে বলেন, যশোর থেকে ঢাকা আসার পথে আমাদের নেতাকর্মীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। এতে চারজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- যশোরের মধুগ্রাম থানার বজলুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান (৬৫), পাগলাদাহ থানার ইনসান আলির ছেলে ডা. জালাল (৬৫), ডা. আব্দুল হালিম (৫৫) এবং বাসচালকের সহকারী পাগলাদাহ থানার মো. বাপ্পির ছেলে হাসিব (৩২)। তারা সবাই যশোরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন
- ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪
- মিশরে মিনিবাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২২
মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, যশোর থেকে ঢাকাগামী নাইট কোচ হামদান এক্সপ্রেস চলন্ত এক ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে উভয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানের সড়ক দ্বীপে রেলিংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে ধাক্কা খায়। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান দুইজন।
খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় চারজনে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফেসবুক পোস্টে দেওয়া শোকবার্তায় তিনি লেখেন, ‘আজ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা যশোরের একটি বাস মাওয়া এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এই দুর্ঘটনায় মহান আল্লাহর ৪ জন বান্দা ইন্তিকাল করেছেন। মহান রাব্বুল আলামিন তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আরও কতিপয় ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মহান আল্লাহ তাদেরও সুস্থতার নিয়ামত দান করুন। আমিন।’
এএএম/কেএসআর/এমএস