• ১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন
• মব ভায়োলেন্স হত্যার শিকার ৮৯
• চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছে না
দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’ অবস্থায় নিতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। ৫ আগস্টের পর থেকে বেশ কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ। পরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঢেলে সাজালে একটু স্বাভাবিক হলেও সেটা এখনো জনগণের আকাঙ্ক্ষার জায়গায় পৌঁছেনি।
দেশে এখনো কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, এমনকি হত্যাকাণ্ড, মব ভায়োলেন্স চলছেই। হামলার শিকার হচ্ছে পুলিশও। ১০ মাসে (২০২৪ সালের সেপ্টেম্ববর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত) সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৫টি। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ কাটেনি।
সবশেষ রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। হত্যার পর মরদেহের ওপরে লাফিয়ে উল্লাস ও পাথর মারা হয়। এ ঘটনাটি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও জায়গা করে নেয়।
তবে পুলিশ ও সরকার সংশ্লিষ্টদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক উন্নতি হয়েছে এবং আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছে। মব ভায়োলেন্সসহ অন্য অপরাধও কমে আসছে।
দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে। পুলিশের মনোবল বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অগ্রগতি হচ্ছে।-পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুরো পুলিশ বাহিনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী শাসনামলে সরকারবিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নে এমনিতেই মানুষ পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। তারপর গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। সরকারি গেজেট অনুযায়ী, নারী ও শিশুসহ ৮৩৪ জন ছাত্র-জনতা নিহত হন। গুরুতর আহত হন ১৩ হাজার ৮১১ মানুষ। ফলে সরকার পতনের পর তীব্র গণরোষের ভয়ে দুই লাখের বেশি সদস্যের এ বাহিনীর প্রধান আইজিপি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত বেশিরভাগ সদস্য গাঢাকা দেন।
- আরও পড়ুন
- বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা
- চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় পুলিশের সামনে সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম
- চাপাতি ভাড়া থেকে জামিন, সবই মেলে ‘ছিনতাই প্যাকেজে’
তিন দিন পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার পর পুলিশকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়। শুরুতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশি কার্যক্রম চলে। বর্তমানে সারা দেশেই পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। যদিও এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাবাহিনীও মাঠে রয়েছে।
মব ভায়োলেন্স হত্যা ৮৯
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন) ৪৪১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২২ জনকে। শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৮৭টি। মব ভায়োলেন্সর মাধ্যমে হত্যার ঘটনা ঘটে ৮৯টি। সবচেয়ে বেশি মব ভায়োলেন্সে হত্যার ঘটনা ঘটে ঢাকা বিভাগে ৪৫টি। কারাগারে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। এছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতায় মৃত্যু হয় ৬৫ জনের। ১৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হন।
প্রতিদিন গড়ে ১১ খুন
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ১১টি করে খুনের ঘটনা ঘটছে। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন- এক বছরে খুনের মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৮৩২টি। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত খুনের মামলা হয় ১ হাজার ৯৩৩টি। আর আগের ছয় মাসে এ সংক্রান্ত মামলা হয় ১ হাজার ৮৯৯টি।
পুলিশ বিগত এক বছরে কয়েকবার অপরাধের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানেও বিভিন্ন অপরাধ বাড়ছে। নাগরিকের মনে অশনিসংকেত, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছে নাগরিকদের মধ্যে। এটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।- ড. তৌহিদুল হক
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যার ঘটনায় অনেক মামলা হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অনেক ভুক্তভোগী খুনের মামলা করতে পারেননি। তাই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিগত সময়ের অনেক ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। ১১ মাসে এ ধরনের মামলা হয়েছে এক হাজারের বেশি। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪-এর জুন পর্যন্ত ১১ মাসে সারা দেশে খুনের মামলা হয় দুই হাজার ৭৪২টি। অর্থাৎ, ওই সময়ে গড়ে প্রতিদিন খুন হয়েছে আটটি।
১০ মাসে ১ লাখ ৪৪ হাজার মামলা
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন (১০ মাসে) সারা দেশে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ডাকাতির ৬১০টি, চুরির ৭৩১০টি, দস্যুবৃত্তির ১৫২৬টি, খুনের ৩৫৫৪টি, দাঙ্গার ৯৭টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের ১২ হাজার ৭২৬টি, অপহরণের ৮১৯টি, ধর্ষণের ৪ হাজার ১০৫টি, পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় ৪৭৯টি, অন্য কারণে রুজুকৃত ৬৮ হাজার ৬৮০টি, অস্ত্র আইনে ১ হাজার ৪৩৬টি, মাদকদ্রব্যের ৩৮ হাজার ১৭৬টি এবং চোরাচালানের ১ হাজার ৮২০টি মামলা।
গত মাসে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে চলতি বছরে অপরাধ বেড়েছে, যা নাগরিকদের মধ্যে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। চলতি বছর অপরাধ খুব বাড়ছে—এই দাবি পরিসংখ্যান পুরোপুরি সমর্থন করে না। বরং গত ১০ মাসে বড় অপরাধগুলোর ঘটনা একই ধরনের রয়েছে।
প্রেস উইংয়ের সরবরাহ করা অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ছয় মাসে খুনের মামলা বেড়েই চলেছে। জানুয়ারিতে মামলা হয়েছে ২৯৪টি। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৩০০টি। এরপর মার্চে খুন ৩১৬টি, এপ্রিলে ৩৩৮টি, মে মাসে ৩৪১টি। আর গত জুনে খুনের মামলা ছিল ৩৪৪টি।
- আরও পড়ুন
- ব্যবসায়ীদের কড়া বার্তা দিতেই সোহাগকে হত্যা করে বুনো উল্লাস
- মারণাস্ত্র না থাকলে ‘পুলিশের নিরাপত্তা’ দেবে কে?
- ঢাকায় ৪ মাসে ১৩৬ খুন, প্রকাশ্যে হত্যা-ছিনতাই চলছেই
আবার ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলেও খুনের মামলা বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। যেমন, ২০২০ সালে সারা দেশে খুনের মামলা ছিল ৩ হাজার ৫৩৯টি, ২০২১ সালে ৩ হাজার ২১৪টি, ২০২২ সালে ৩ হাজার ১২৬টি এবং ২০২৩ সালে ৩ হাজার ২৩টি মামলা হয়।
অভ্যুত্থানে নির্বিচার গুলিতে বাড়ে খুনের মামলা
২০২৪ সালে সাধারণ খুনের ঘটনার পাশাপাশি ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এতে বছরটিতে খুনের মামলার সংখ্যা অনেকটা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ১১৪। চলতি বছরে এসেও অতীতের চেয়ে খুনের মামলার সংখ্যা বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। যেমন ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার বছরে মোট খুনের মামলা ১২ হাজার ৯০২টি। সেই হিসাবে চার বছরে প্রতি মাসে গড়ে খুনের মামলা হয় প্রায় ২৬৯টি। এই সময়ে (চার বছর) প্রতি ছয় মাসে গড়ে খুনের মামলা হয়েছে ১ হাজার ৬১৩টি। আর এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট খুনের মামলা হয়েছে ১ হাজার ৯৩৩টি।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সব ধরনের অপরাধের রেকর্ড নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করতে পারছেন। গত সরকারের আমলে গুম বা অপহরণের শিকার ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা করতে পারতো না। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। সব ধরনের ভিকটিমই মামলা করতে পারছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত এক হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। ফলে মামলার পরিসংখ্যান বাড়ছে।
চিরুনি অভিযান চলমান
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছিল, সেগুলোর তদন্তকাজ অনেক দূর এগিয়ে আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চলমান। এছাড়া সারা দেশে বিশেষ করে অপরাধপ্রবণ এলাকায় পুলিশের বিশেষ টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বিগত সময়ে দেশের বড় বড় শহর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে অপরাধীদের আটক করা হয়েছে, যা এখনো চলমান।’
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে। পুলিশের মনোবল বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অগ্রগতি হচ্ছে।’
‘রাজনৈতিক শক্তির কাছে পুলিশ নতিস্বীকার করেছে’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবার জন্য সন্তোষজনক নয়। সবার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না পুলিশ। না পারার পেছনের ঘটনায় দেখা যায় মব সন্ত্রাসের মতো বিষয় তৈরি হয়েছে। যা নিয়ন্ত্রণে করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘যে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট হয়েছিল তা পরিপূর্ণভাবে উদ্ধার করা যায়নি। আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় অপরাধীদের দ্বারা পুলিশ আক্রমণের শিকার হয়েছে, কিন্তু যথাযথভাবে আইনগত জবাব দিতে পারেনি। জুলাই গণঅভ্যুথানের মামলায় কারও নাম অন্তর্ভুক্ত করা, নাম বাদ দেওয়া, হয়ারানিমূলক মামলা করা- এ ধরনের বিধিবহির্ভূত কাজগুলো পুলিশ মোকাবিলা করতে পারেনি। রাজনৈতিক শক্তির কাছে পুলিশ নতিস্বীকার করেছে।’
ড. তৌহিদুল হক আরও বলেন, ‘পুলিশ বিগত এক বছরে কয়েকবার অপরাধের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানেও বিভিন্ন অপরাধ বাড়ছে। নাগরিকের মনে অশনিসংকেত, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছে নাগরিকদের মধ্যে। এটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
‘মবের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) গত ২ আগস্ট বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো রয়েছে। সাংবাদিকরা সত্য সংবাদ তুলে ধরলে এবং সহযোগিতা করলে আরও ভালো হবে। পুলিশ অনেকটাই স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। মব সহিংসতা আগের থেকে কমেছে।
সব বাহিনী একসঙ্গে কাজ করলে অপরাধ কমবে
গত ৩১ জুলাই ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদক ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ হাজার ৫৭৬ জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঁদাবাজ বা অন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যেসব আইনশৃঙ্খলা এজেন্সিগুলোর সর্বাজ্ঞে দায়িত্ব পালন করার কথা। তারা যদি কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে আরও কমে আসবে বলে আশা করি। আমরা সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি একসঙ্গে কাজ করি তাহলে চাঁদাবাজির মতো অপরাধও কমে আসবে বলে বিশ্বাস করি।
টিটি/এএসএ/এএসএম