রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে অধিকাংশ সবজির দাম। সেইসঙ্গে দাম কমেছে পেঁয়াজের। তবে দাম বেড়েছে ডিম, আটা ও ডালের। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি, মাছ ও মাংসের দাম।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪২-৪৪ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা।
এছাড়া পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬৫-৭০ টাকা এবং কাঁচামরিচ গত সপ্তাহের মতো ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
শাপলা চত্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা শাহীনুর ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে ডিমের দাম বেড়েছে। বড় সাইজের ১০০ ডিম পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটো ১২০-১৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০০-১২০ টাকা, গাজর ১২০-১৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০০-১২০ টাকা, কাঁকরোল ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে ৪৫-৫০ টাকা, ঝিংগা ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) গত সপ্তাহের মতো ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষি ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা, চিকন বেগুন গত সপ্তাহের মতো ৩০-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, কচুমুখি আগের মতো ২৫-৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা, ধনেপাতা ২০০-২৫০ টাকা থেকে কমে ৮০-১০০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে দেশি আদা ২০০-২২০ টাকা থেকে কমে ১৮০-২০০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা ভুট্টু মিয়া বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অধিকাংশ সবজির দাম কমেছে। তবে বৈরি আবহাওয়া আর কয়েকদিন স্থায়ী হলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৩০-১৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটার দাম বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর-২৮ ৭০-৭৫ টাকা, বিআর-২৯ ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এফএ/জেআইএম