এথেন্সে সাংস্কৃতিক কূটনীতির বর্ণিল আয়োজন

5 hours ago 5

গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনার উদ্যোগে এথেন্সের বাংলাদেশ হাউসে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনুপ্রেরণামূলক সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক আয়োজন ‌‘বাংলাদেশ-স্থিতিশীলতার দেশ’। এতে গ্রিসে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের ৪০ জন বিশিষ্ট নারী অংশ নেন।

রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা স্বাগত বক্তব্যে অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাংস্কৃতিক বিনিময় মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক দৃঢ় করে তোলে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্যসমৃদ্ধ উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব রাবেয়া বেগম। এতে উঠে আসে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান, প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের যাত্রা।

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সংস্কারমুখী নেতৃত্বকে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের ধারা জোরদার করেছে।

এথেন্সে সাংস্কৃতিক কূটনীতির বর্ণিল আয়োজন

বাংলাদেশের ‘থ্রি জিরো’ লক্ষ্য— দারিদ্র্যমুক্তি, কর্মসংস্থানহীনতা দূরীকরণ ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা- অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি আলোচিত হয় সংস্কৃতির স্থিতিশীলতা ও যুবশক্তির সম্ভাবনা।

একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ও আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রদূত অতিথিদের উদ্দেশে বলেন, ‘জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন নয়; এটি ছিল একটি চেতনা, ঐক্যের গল্প- যেখানে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচারের দাবিতে মতাদর্শের শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাদের ঐক্য ও সাহস পুরো জাতিকে প্রেরণা জুগিয়েছিল।

তিনি প্রদর্শনীর ছবিগুলোর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে এর সংযোগ ব্যাখ্যা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি জামদানি শাড়ি ও মণিপুরি বস্ত্র, সিরামিকস, চামড়াজাত পণ্য, নকশিকাঁথা ইত্যাদি দেশীয় পণ্যের প্রদর্শনী মুগ্ধতা ছড়ায়।

এথেন্সে সাংস্কৃতিক কূটনীতির বর্ণিল আয়োজন

পরিশেষে পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি মধ্যাহ্নভোজ-বিরিয়ানি, কাবাব, ডাল, রসগোল্লা ও চা। অনুষ্ঠানটি ছিল সম্পূর্ণ প্লাস্টিকমুক্ত ও শূন্য-অপচয়, যা বাংলাদেশের টেকসই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

এই সাংস্কৃতিক কূটনীতি উদ্যোগ গ্রিসে আন্তর্জাতিক নারী সমাজের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে এবং একটি স্থিতিশীল ও অগ্রসরমান জাতি হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

উইমেনস ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের সভাপতি আজিজা এসসৌলাইমানি ও অন্যান্য গণ্যমান্য অতিথিরা রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনাকে ধন্যবাদ জানান একটি স্মরণীয় আয়োজন ও চমৎকার আতিথেয়তার জন্য।

এমআরএম/এএসএম

Read Entire Article