জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সফরের সময় ঘটে যাওয়া তিনটি ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দপ্তরের চলন্ত সিঁড়িতে পা রাখতে না রাখতেই সেটি থেমে যায়। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় টেলিপ্রম্পটারটিও (বক্তব্যের লিখিত রূপ ভেসে ওঠার স্ক্রিন) কাজ করছিল না এবং অডিটোরিয়ামে শব্দ শোনা যাচ্ছিল না। এই ঘটনাকে তিনি ‘ট্রিপল স্যাবোটেজ’ বা তিন দফা নাশকতা বলে দাবি করেছেন। খবর বিবিসির।
চলন্ত সিঁড়ি এবং টেলিপ্রম্পটার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কিছুটা রেগে যান ট্রাম্প এবং ওয়াশিংটন এ ঘটনাকে গুরুতর ঘটনা হিসেবে দেখছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, চলন্ত সিঁড়ি ইচ্ছাকৃতভাবে থামানো হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, জাতিসংঘে একসঙ্গে তিনটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসকে চিঠি দিয়ে তাৎক্ষণিক তদন্তের দাবি জানানোর কথাও উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, যারা এস্কেলেটরের ইমার্জেন্সি স্টপ বাটন টিপেছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ এই ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিক তদন্তের আহ্বান জানান। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটও বলেন, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে চলন্ত সিঁড়ি থামিয়ে থাকে, তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও তদন্ত করতে হবে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানান, ট্রাম্পের ভিডিওগ্রাফার সম্ভবত পেছন দিকে ওঠার সময় নিরাপত্তা ফাংশন সক্রিয় করে ফেলেছিলেন। এদিকে টেলিপ্রম্পটার বিকল হওয়ার সময় তা মার্কিন দলের নিয়ন্ত্রণেই ছিল বলে জানায় জাতিসংঘ। অডিটোরিয়ামের শব্দ সমস্যার প্রসঙ্গে জাতিসংঘ জানায়, বক্তৃতা শোনার জন্য সেখানে কানে লাগানো ইয়ারপিস ব্যবহার করতে হয়।
৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প চলন্ত সিঁড়িতে পা রাখার পরপরই তা হুট করে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভাষণ শুরু করতে গিয়ে ট্রাম্প দেখেন টেলিপ্রম্পটারও কাজ করছে না। তিনি মঞ্চে বলেন, যে এই টেলিপ্রম্পটার চালাচ্ছে সে বড় সমস্যায় পড়বে। তিনি মজা করে বলেন, জাতিসংঘ থেকে আমি দুটি জিনিস পেয়েছি-একটি খারাপ চলন্ত সিঁড়ি এবং একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।
তবে জাতিসংঘ বলছে, এস্কেলেটর বন্ধ হওয়া ছিল প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর টেলিপ্রম্পটার নিয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই কারণ এটি হোয়াইট হাউজ পরিচালনা করে।
টিটিএন