এনআইডি করতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ৩
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ভুয়া তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে গেলে রোহিঙ্গা নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার নির্বাচন অফিসে ছবি তোলার সময় তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন রোহিঙ্গা নারী সুমাইয়া আক্তার (২৬), তার প্রকৃত বাবা রোহিঙ্গা নাগরিক মো. তৈয়ব (৪৫) ও ভুয়া বাবা মো. ইসমাইল (৬৫)। তাদের মধ্যে ইসমাইল উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খুরুস্কুল গ্রামের মৃত সাঁচি মিয়ার ছেলে।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আটক রোহিঙ্গা মো. তৈয়ব ২০ বছর ধরে আনোয়ারার জুঁইদন্ডী এলাকায় বসবাস করছেন। তৈয়বের মেয়ে সুমাইয়া ভুয়া তথ্যে পোশাক কারখানা কেইপিজেডে চাকরি করছে। সম্প্রতি চাকরির জন্য তার এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হলে ইসমাইলকে ভুয়া বাবা সাজিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে আবেদনের পর বুধবার ছবি তুলতে নির্বাচন অফিসে আসেন। তাদের আচরণে সন্দেহ হলে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এ সময় তারা সব স্বীকার করেন। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া কাগজপত্রের বিষয়ে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম বলেন, প্রথমে আমার কাছে এলেও আমি তাদের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিনি। পরে হয়তো কারও মাধ্যমে ধরে অন্যজনের কাগজপত্রের ভেতরে করে আমার স্বাক্ষর নিয়ে নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, বুধবার এনআইডি কার্ডের ছবি তোলার সময় এক মেয়েকে সন্দেহ হলে তাকে আটক করি। এ সময় তার সব কাগজপত্র তার নকল বাবা ও আসল বাবা করে দিয়েছেন বলে মেয়েটি স্বীকার করেন। পরে তার বাবা পরিচয়ে আসা মো. ইসমাইল ও রোহিঙ্গা মো. তৈয়বকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, আটক রোহিঙ্গা ওই নারী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি জন্মনিবন্ধও জমা দিয়েছেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্তা নিচ্ছি।