আলোচিত এনআরবিসি ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তারা হলেন -ব্যাংকটির হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ারস কামরুল হাসান, হেড অব আইসিটি দিদারুল হক মিয়া, হেড অব এমআইএস রাজিদুল ইসলাম, ব্যাংকের প্রধান ফরেক্স ডিলার জমির উদ্দিন, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জাফর ইকবাল হাওলাদার ও হেড অব সিকিউরিটি ফোর্সেস ফরহাদ সরকার।
এসব ব্যক্তিদের সবাই এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। রোববার এ সংক্রান্ত চিঠি সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নিকট পাঠানো হয়েছে।
এর আগে তমালসহ অন্য কর্মকর্তাদের জব্দ হওয়া ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার পর এই ৬ কর্মকর্তার বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএফআইইউ সূত্র।
ব্যাংকগুলোয় পাঠানো বিএফআইইউর চিঠিতে, পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে উল্লেখিত কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে হিসাবসমূহের দলিলাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, হিসাব খোলার তারিখ হতে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি) দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল ও ব্যাংকের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) জাফর ইকবাল হাওলাদার এবং সাবেক পরিচালক আদনান ইমামের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ জারি করে বিএফআইইউ।
গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর এখন ব্যাংকটির দিকে নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও দায়ের হয়েছে। যদিও তিনি গ্রেফতার হননি। এর মাঝেই বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুকম্পা পেতে তিনি তদবির করছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো বেশ কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া ৯টি ব্যাংকের একটি এনআরবিসি ব্যাংক। শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে ব্যাংকটির পর্ষদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা ছাড়াই ব্যাংকটির শীর্ষ পদে নিয়োগ পান বেশ কয়েকজন। ভিন্ন কোম্পানী খুলে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়, যা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
ইএআর/এমআইএইচএস