এনসিপিকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে অন্যদের নিবন্ধন আটকে রেখেছে ইসি

2 hours ago 3

নির্বাচন কমিশন জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) বগলে নিয়ে ঘুরছে। তাদের অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ইসি অন্য দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখেছে।

ইসির প্রথম তদন্তে উত্তীর্ণ দুটি দল- মৌলিক বাংলা ও বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিজেডিডিপি) নেতারা মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে তারা অধিকতর তদন্ত না করে প্রথম তদন্তের ভিত্তিতেই তাদের নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানান।

মৌলিক বাংলার সভাপতি খান শোয়েব আমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখন বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতোই ক্ষমতাসীনদের প্রতিনিধিত্ব করছে। তারা যদি সরকারের প্রতিনিধি না হতো, তাহলে আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, অবস্থান বা ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে এমন প্রশ্ন তুলতে পারত না। তদন্ত কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা অত্যন্ত অপ্রীতিকর ও সংবেদনশীল।’

কর্মকর্তাদের নাম-পরিচয় নোট করে রাখা হয়েছে জানিয়ে খান শোয়েব বলেন, ‘উনারা আমাদের যেসব কথা বলেছেন তা খুবই অপ্রীতিকর, খুবই সেনসিটিভ, যা রাজনৈতিক দলের প্রতি সরকারি কোনো মানুষ বলতে পারেন না। ২০১২ সাল থেকে অনেক দল নিবন্ধন পেয়েছে। আমরা জানি তারা কীভাবে নিবন্ধন পেয়েছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে আপস করিনি। আর সেই কারণেই আজও আমরা নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত। সময় হলে আমরা ওই কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করবো।’

ইসি প্রথমে তদন্ত, পরে পুনঃতদন্ত, এখন আবার অধিকতর তদন্ত করছে উল্লেখ করে মৌলিক বাংলার সভাপতি বলেন, ‘এতে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী অন্য পেশার পাশাপাশি রাজনীতি করেন। বারবার মাঠ পরিদর্শনে ডেকে নেওয়ায় তাদের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এই তদন্ত আসলে রাজনৈতিক ময়নাতদন্তের মতো।’

খান শোয়েব অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সহযোগিতার চেয়ে অসহযোগিতাই বেশি করেছেন। বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব নথি জমা দেওয়ার পরও তারা আমাদের অফিসের মালিকের সম্পত্তির দলিল চাচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অনৈতিক।’

সংবাদ সম্মেলনে মৌলিক বাংলা ও বিজেডিডিপি অধিকতর তদন্ত না করে প্রথম তদন্তের ভিত্তিতে তাদের নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানায়। সেই সঙ্গে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানায়।

প্রাথমিক তদন্তে এ দুটি দলই টিকে ছিল। তবে ইসি এখন আরও নয়টি দলের সঙ্গে তাদের বিষয়েও অধিকতর তদন্ত করছে। অন্যদিকে এনসিপিকে নিবন্ধন দিতে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তাদের দলটির নিবন্ধন শাপলা প্রতীক জটিলতায় আটকে আছে।

এমওএস/একিউএফ/এমএস

Read Entire Article