এনসিপিত্যাগীদের জন্য আমজনতার দলের দরজা খোলা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জন্য যারা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ছাড়ছেন, তাদের জন্য আমজনতার দলের দরজা খোলা আছে।আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) আমজনতার দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান নিজের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান। ফেসবুক পেজে তারেক রহমান লেখেন, জামায়াতের জন্য যারা এনসিপি ছাড়ছেন, তাদের জন্য আমজনতার দলের দরজা খোলা আছে। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে, যুক্তি-তর্কের বিবাদ আছে, কোনো অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি আমাদের নেই। দরকার হলে জনতার কাছে ভিক্ষা চেয়েছি দলের জন্য, কারো গলায় পাড়া দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করি নাই। নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করব। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপনাদের জন্য এই ছাড় আমরা দেব। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে এনসিপি। দলীয় সূত্র জানায়, জোটের অংশ হিসেবে এনসিপি জামায়াতের কাছে ৫০টি আসন দাবি করেছে। তবে এ নিয়ে এখনো আলোচনা চলমান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত এনসিপি প্রায় ৩০টি আসন পেতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে সূত্রটি। এদিকে জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দলটির ভেতরে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর

এনসিপিত্যাগীদের জন্য আমজনতার দলের দরজা খোলা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জন্য যারা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ছাড়ছেন, তাদের জন্য আমজনতার দলের দরজা খোলা আছে।আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) আমজনতার দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান নিজের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।

ফেসবুক পেজে তারেক রহমান লেখেন, জামায়াতের জন্য যারা এনসিপি ছাড়ছেন, তাদের জন্য আমজনতার দলের দরজা খোলা আছে। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে, যুক্তি-তর্কের বিবাদ আছে, কোনো অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি আমাদের নেই। দরকার হলে জনতার কাছে ভিক্ষা চেয়েছি দলের জন্য, কারো গলায় পাড়া দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করি নাই। নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করব। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপনাদের জন্য এই ছাড় আমরা দেব।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে এনসিপি। দলীয় সূত্র জানায়, জোটের অংশ হিসেবে এনসিপি জামায়াতের কাছে ৫০টি আসন দাবি করেছে। তবে এ নিয়ে এখনো আলোচনা চলমান রয়েছে। শেষ পর্যন্ত এনসিপি প্রায় ৩০টি আসন পেতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে সূত্রটি।

এদিকে জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দলটির ভেতরে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা পদত্যাগ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। এর পরদিন রোববার যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন পদ ছাড়েন এবং নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। পাশাপাশি জোটের বিরোধিতা করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন নেতা আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন।

তবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় যে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে। সংস্কার বাস্তবায়নের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংলাপের পথ সবসময় খোলা রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow