২০১৪, ১৮ বা ২৪ সালের মতো এবার আর দিনের ভোট রাতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেন, এবার নির্বাচন কমিশনই হবে জনগণের পক্ষে জয়ী। জনগণের খেলার মধ্যদিয়েই নির্বাচন হবে এবং সেটিই হবে সঠিক গণতন্ত্রের প্রতিফলন।
ফারুক বলেন, যারা পিআরের (প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন) কথা বলছেন, যারা বলছেন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না—তাদের উদ্দেশে বলছি, এটা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের জনগণ এখন ড. ইউনূসকে সমর্থন দিয়ে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন
- আমরা আস্থার জায়গায় কেউ নেই, এটি জাতীয় সংকট: ইসি আনোয়ারুল
- নির্বাচনে কোনো অন্যায় প্রশ্রয় দেবো না: ইসি রহমানেল মাসুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করার পর থেকেই আমরা নানা গুঞ্জন শুনছি। আমরা শুনছি নুরের (নুরুল হক নুর) ওপর নির্যাতনের খবর, পিআরের পরিকল্পনা এবং নির্বাচনী ষড়যন্ত্রের নানা ইঙ্গিত। আজ যদি আবারও শাহাবুদ্দিনের মতো একটি নির্বাচন ড. ইউনূস দিতে চান, তাহলে সেটা হবে দিল্লিতে বসে থাকা শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। দেশের ১৮ কোটি মানুষ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যাত্রা শুরু করেছে। তারেক রহমানের অকুণ্ঠ সমর্থনেই গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ। সেই পথ রুদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, তবে তা সফল হবে না।
সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে, তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সংবিধান নিয়ে আর কোনো ছিনিমিনি খেলা চলবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান মেনে, এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই।
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ও কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হকসনহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/ইএ/এমএস