এবার কি রোহিত-কোহলিকে দেখা যাবে বিগ ব্যাশে?

4 hours ago 5

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শনিবারের বিকেলটা যেন সময়ের ঘূর্ণিতে ফিরে যাওয়া এক মুহূর্ত ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য। ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা যেন ফিরিয়ে নিয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীদের ২০১৩ সালের স্মৃতিতে। দুই ভারতীয় কিংবদন্তির ব্যাটে ঝলমল করছিল সেই পুরনো ছন্দ—গ্যালারিতে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল করতালির ঢেউ। অনেকের চোখেই এ যেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাঁদের শেষ আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।

কিন্তু ম্যাচ শেষে আলোচনায় উঠে এলো এক নতুন প্রশ্ন—এটা কি বিদায়ের সূচনা, নাকি অস্ট্রেলিয়ার ফ্রাঞ্চাইজি বিগ ব্যাশ লিগে (BBL) নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত?

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (CA) প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গের মন্তব্য সেই জল্পনাকেই আরও উস্কে দিয়েছে। অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম cricket.com.au-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘স্বল্প বা মধ্য মেয়াদে রোহিত ও কোহলির মতো খেলোয়াড়দের বিগ ব্যাশে দেখা—এটা এখন অবাস্তব কিছু নয়। আমাদের আলোচনা খোলা রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

গ্রিনবার্গ আরও জানান, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সিডনি থান্ডারে যোগ দেওয়াই এই সম্ভাবনার প্রথম পদক্ষেপ। তিনি বলেন, ‘অশ্বিনের আসাটা বিগ ব্যাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এটা প্রমাণ করবে, ভারতীয় খেলোয়াড়রা এ লিগের আকর্ষণ আরও বাড়াতে পারে।”

তবে তিনি একইসঙ্গে উল্লেখ করেন, এই পথে এগোতে গেলে বেসরকারি বিনিয়োগই হতে পারে মূল চাবিকাঠি। তাঁর ভাষায়, “বিগ ব্যাশে প্রাইভেট ক্যাপিটাল বা বিনিয়োগ আনার আলোচনা এখন খোলা। এর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।”

এই মন্তব্যের মাধ্যমে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আসলে এক নতুন পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছে—বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে এমন অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করা, যা রোহিত-কোহলির মতো এক প্রজন্মের তারকাদের আকৃষ্ট করতে পারে।

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সিডনি থান্ডারে সই করা অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমে “বিগ ব্যাশ ইতিহাসের অন্যতম বড় সাইনিং” হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। তবে সেটি সম্ভব হয়েছিল কেবল অশ্বিনের আন্তর্জাতিক অবসরের পর এবং আইপিএল থেকে প্রস্থান করার পর।

অতএব, রোহিত-কোহলির ক্ষেত্রেও একই পথই সবচেয়ে বাস্তবসম্মত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যতদিন তাঁরা আইপিএলে সক্রিয়, ততদিন বিগ ব্যাশে খেলার অনুমতি মিলবে না।

তবে গ্রিনবার্গের বক্তব্য স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল—দরজা পুরোপুরি বন্ধ নয়। অশ্বিনের অভিজ্ঞতা হবে এক প্রকার কেস স্টাডি, আর বেসরকারি বিনিয়োগ যোগ করলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হাতে থাকবে প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য।

সবকিছু এখন নির্ভর করছে সময়, উত্তরাধিকার আর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপর।
অস্ট্রেলীয় ভক্তরা হয়তো আগেই কল্পনা শুরু করেছেন—একদিন হয়তো সিডনির আকাশে আবার দেখা যাবে রোহিত-কোহলির ব্যাট জ্বলে উঠতে, তবে এবার ভারতীয় নীল নয়, থান্ডারের সবুজ-সোনালী জার্সিতে।

Read Entire Article