এবার লক্ষ্মীপুরের সেই খালে ৫ জন নিহত

4 hours ago 3

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস খালে পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে রহমতখালী খালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৫৭) ও মোরশেদ আলম (৪০), নওগাঁ জেলার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির, রিপন হোসেন (৩৫) ও মাজেদ হোসেন (৪০)।

এর আগে গত ৬ আগস্ট মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়নের চন্দ্রগঞ্জের জগদিশপুর এলাকায় একই খালে একটি মাইক্রোবাস ডুবে সাতজন নিহত হয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে রহমতখালী খালে পড়ে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর খাল থেকে বাসটি ওঠানো হয়েছে। এতে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর প্রায় ১ ঘণ্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, বাস খালে ডুবে পাঁচজন মারা গেছে। কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা জানতে ডুবরি দল কাজ করছে। অচেতন অবস্থায় আমরা ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করেছি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গত ৬ আগস্ট একই খালে মাইক্রোবাস ডুবে নিহতরা হলেন- ওমান প্রবাসীর স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), তার মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানি ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯), লামিয়া আক্তার (৮) ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)। তারা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাছারি বাড়ির বাসিন্দা। অন্যদিকে আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিন ও মাইক্রোবাস চালকসহ পাঁচজন।

আরও পড়ুন : জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যু

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রবাস ফেরত বাহার উদ্দিনকে আনতে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা মাইক্রোবাসে ফিরছিলেন লক্ষ্মীপুরের চৌপল্লী গ্রামের বাড়িতে। পথে দ্রুতগতির মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গভীর খালে পড়ে যায়।

আরও জানা গেছে, পরে স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালীর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জনের মধ্যে চারজন পুরুষ (প্রবাসীসহ) কোনোমতে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলেও, পানির গভীরতা বেশি থাকায় আটকা পড়ে যান নারী ও শিশুরা। নিহত হন সাতজন।

Read Entire Article