এবার ৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলায় সমন্বয়ক রিয়াদ রিমান্ডে
এবার আওয়ামী লীগের আরেক সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের কাছে ৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৭ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- রিয়াদের তিন সহযোগী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম এবং সাদমান সাদাব।
রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। রিয়াদের পক্ষে আক্তার হোসেন ভূঁইয়া এবং ইব্রাহিম হোসেনের পক্ষে আব্দুল্লাহ আল ফারুক রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর দুই আসামির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে সাবেক এমপির বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিয়াদসহ বাকি আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ গত ১ আগস্ট তার শ্যালক সাইফুল ইসলাম তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। গত ৯ আগস্ট এই চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ২০ অগাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার ইন্সপেক্টর নাজমুল জান্নাত শাহ তাদের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন বুধবার (২৭ আগস্ট) ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদের একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ২৬ জুন বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে রিয়াদসহ অপরাপর আসামিরা তেজগাঁও থানাধীন এলাকায় তার অফিসে গিয়ে হুমকি দিয়ে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শেখ হাসিনার দোসর উল্লেখ করে সেনাবাহিনী দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার এবং মব সৃষ্টি করে রাস্তায় নামিয়ে বেইজ্জতির হুমকি দেয়। তারপর তারা মব সৃষ্টি করে আবুল কালাম আজাদের অফিসের ড্রয়ার খুলে ১১টি চেকের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা চেক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপর রিয়াদ আবুল কালাম আজাদকে ফোন করে হুমকি দিয়ে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে বলে। না হলে পুলিশ নিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।