এবার ৬ দফা ঘোষণা বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

1 week ago 13
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়াকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। হল ছাড়ার নির্দেশনা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এই আলটিমেটাম দেন।  সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। এর আগে, একই দিন প্রশাসনের হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে সকাল ৯টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা কেআর মার্কেটে জড়ো হন।  আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এ এইচ এম হিমেল বলেন, দুপুর ২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার, হলগুলোতে সব সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, প্রক্টরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ, হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা, হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক কৃষি অনুষদের আসাদুজ্জামান সরকার, তোফাজ্জল, শরীফ, রাফি, বজলুর রহমান মোল্লা, মনির, আশিকুর রহমান, কামরুজ্জামানসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনতিবিলম্বে প্রদান করতে হবে।  তিনি আরও বলেন, ৬ দফা দাবি যতক্ষণ না পর্যন্ত গৃহীত হচ্ছে ততক্ষণ কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন এবং ব্ল্যাক আউটে যাবে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম কালবেলাকে বলেন, নির্দেশনা অনেকে মেনে চলে গেছে আবার অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে আন্দোলন করছে। আমরা চাই ছেলেরাও চলে যাক। হল খালি হলে সাধারণত দায়দায়িত্ব লোকাল প্রশাসনের হাতে চলে যায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথেও কথা বলছি, দেখি কি করা যায়। উল্লেখ্য, সমন্বিত ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান একদল ব্যক্তি। এতে সাংবাদিক-শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে রাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলের ৯টি এবং মেয়েদের ৫টি হল রয়েছে। মোট শিক্ষার্থী সাড়ে ৬ হাজারের মতো।   
Read Entire Article