বিশ্বজুড়ে ডক্টর্স উইদাউট বর্ডারস নামে পরিচিত আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিষয়ক মানবিক সংস্থা মেদসঁ সঁ ফ্রঁতিয়ের (এমএসএফ) দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গ্লোবাল হেলথ বিশেষজ্ঞ পার্থেসারথি রাজেন্দ্রন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এমএসএফ।
এতে বলা হয়, সহকর্মীদের কাছে ‘সারথি’ নামে পরিচিত রাজেন্দ্রন প্রায় দুই দশক ধরে মানবিক কর্মকাণ্ড ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতে কাজ করছেন। অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান এবং জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর সারথি বলেন, ‘এমএসএফ দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। একটি নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা এবং এশিয়ায় পরিচালন বিভাগ গড়ে তোলার সুযোগ এসেছে। এটি মানবিক সাড়া জোরদার করার পাশাপাশি এমএসএফ-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণেরও সুযোগ। আমি প্রস্তুত এই চ্যালেঞ্জের জন্য।
নতুন পদে থেকে তিনি জলবায়ু ও স্বাস্থ্য, জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স গবেষণা, নারীর স্বাস্থ্য, বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য এবং ট্রপিক্যাল মেডিকেল এডুকেশন প্রসারের মতো বিষয়ে নেতৃত্ব দেবেন। একইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে এমএসএফ টিমের প্রত্যক্ষ করা নানা মানবিক সংকট নিয়েও সক্রিয় অবস্থান নেবেন।
পুদুচেরির বাসিন্দা সারথি পূর্বে হাইডেলবার্গ ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল হেলথে সিনিয়র রিসার্চার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারিকুলাম উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগে সহায়তা করেন।
২০০৫ সালে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সুনামির পর দক্ষিণ ভারতে মানসিক স্বাস্থ্য প্রকল্প সমন্বয়ক হিসেবে এমএসএফ-এর সঙ্গে তার কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর সুদান, মালাউই, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও নাউরুসহ নানা দেশে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে এমএসএফ ছাড়ার পর তিনি পিপল ইন নিড ও সলিডারিতেস ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এনজিওতে কাজ করেন। ২০২১ সাল থেকে এমএসএফ ইন্টারন্যাশনাল বোর্ডের সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন এবং ২০২৪-২০২৫ মেয়াদে আন্তর্জাতিক সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
৭০টিরও বেশি দেশে যুদ্ধ, মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও স্বাস্থ্যসেবার বাইরে পড়ে থাকা জনগোষ্ঠীর কাছে চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দেয় এমএসএফ। চিকিৎসা নৈতিকতা, নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা, নির্লিপ্ততা ও জবাবদিহিতার নীতি সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালনায় মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশেও এমএসএফের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জেপিআই/এএমএ/এএসএম