নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীদের মধ্যে যে কয়জন খুব অল্প সময়ের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তাদের মধ্যে ইমরান মাহমুদুল অন্যতম। চলচ্চিত্রের গানের জন্যও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। আজ (৫ সেপ্টেম্বর) এই শিল্পী ও সংগীত পরিচালকের জন্মদিন। সমসাময়িক ব্যস্ততা ও জন্মদিনের আয়োজন নিয়ে কথা হলো এ শিল্পীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান মিথুন।
জাগো নিউজ: শুভ জন্মদিন। জন্মদিনের এইক্ষণে আপনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
ইমরান মাহমুদুল: ধন্যবাদ। আমাকে সব সময় দোয়া ও ভালোবাসায় রাখবেন।
সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে ইমরান মাহমুদুল। ছবি: শিল্পীর ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাগো নিউজ: এবারের জন্মদিন উদযাপন সম্পর্কে জানতে চাই।
ইমরান মাহমুদুল: আমি জন্মদিন সব সময় বাড়িতেই পালন করি। আলাদা করে কোনো আয়োজন করা হয় না। সব জন্মদিনে বাড়িতেই থাকা হয়। পরিবারের সবাইকে সময় দেওয়ার পর বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। আজকে বরাবরের মতো তাই হবে। সন্ধ্যার পর বন্ধুদের নিয়ে বাইরে বের হবো। আমার সহকর্মী ও মিউজিশিয়াস যারা আছেন তাদের সঙ্গে দেখা হবে। তাদের সঙ্গে আড্ডা হবে। হয়তো তাদের সঙ্গে কেক কাটবো। এছাড়া সারাদিন পরিবারের সঙ্গে আছি।
জাগো নিউজ: শৈশবের জন্মদিন পালনের স্মৃতি আপনার অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
ইমরান মাহমুদুল: শৈশবেও আমার জন্মদিন একইভাবে পালন হতো। আমি কখনোই জন্মদিন জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে আমি জন্মদিন পালন করি না। এটি আমার পছন্দ নয়। বাড়িতেই সবার জন্য একটু রান্নাবান্না হতো। বাসার সবার সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করতাম।
ইমরান মাহমুদুল। ছবি: শিল্পীর ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাগো নিউজ: অল্প সময়ের সংগীত ক্যারিয়ারে আপনি ভীষণ সফল মানুষ। এটি কিভাবে সম্ভব হয়েছে?
ইমরান মাহমুদুল: আমার সংগীত ক্যারিয়ার ১৮ বছরে পা রেখেছে। এই ১৮ বছরে দর্শক-শ্রোতাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আমি মনে করি যে এ পর্যন্ত আসার পেছনে পরিশ্রম তো ছিলোই। পাশাপাশি কাজের প্রতি আমার নিষ্ঠা ও একাগ্রতা ছিল। আমার মনে হয় যে, আমার সংগীতের এই অবদান পুরোটাই শ্রোতা-দর্শকদের। কারণ তারা ভালোবাসে বলেই এখনো গান করছি বা করে যাচ্ছি। তারা শুনছে বলেই হয়তো গান করার সাহস পাচ্ছি। তারা যতদিন ভালোবাসবে ততদিন গান করে যাবো।
জাগো নিউজ: সংসার জীবন কেমন উপভোগ করছেন?
ইমরান মাহমুদুল: আলহামদুলিলাহ, সংসার জীবন ভালোই উপভোগ করছি। যখনই সংসার জীবনের কেউ পা রাখেন তখনই তার দায়িত্ব বেড়ে যায়, সব মিলিয়ে সবার দোয়ায় ভালো আছি।
ইমরান মাহমুদুল। ছবি: শিল্পীর ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাগো নিউজ: ‘ইত্যাদি’তে আপনার প্রত্যেকটি গানই শ্রোতাপ্রিয়তা পাচ্ছে। ‘ইত্যাদি’র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার গল্পটা শুনতে চাই।
ইমরান মাহমুদুল: তাহসান ভাইয়ের ও ফারিণের যে গানটি হিট করলো ‘রঙে রঙে রঙিন হবো’, এই গানটি দিয়ে ‘ইত্যাদি’র সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। পরে মোটামুটি অনেকগুলো পর্বে কাজ করেছি। ‘ইত্যাদি’র সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পেছেন যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন কবির বকুল ভাই (গীতিকার)। কবির বকুল ভাই হানিফ সংকেত দাদার কাছে আমার কথা বলেছেন। পরে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। এরপর আমরা একসঙ্গে বসি। আমাদের গানগুলো করার পরিকল্পনা করি এবং সেই গানগুলো সফলতা লাভ করে।
জাগো নিউজ: এখনকার ব্যস্ততা নিয়ে কিছু শুনতে চাই।
ইমরান মাহমুদুল: এখন সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। পাশপাশি কিছু অডিওর কাজও চলছে। এছাড়া অন্য ফিচারিং কাজ চলেছে। তার মধ্যে ফিডব্যাকের লুমিন ভাইয়ে কাজ করলাম, হৈমন্তির কাজ করলাম। তারপর নাটকের কিছু কাজ করেছি। এবারের ‘ইত্যাদি’র জন্য রবি চৌধুরী ও আঁখি আপার (আঁখি আলমগীর) গানের কাজ করা হলো। এর কিছুদিন আগেই আমার সুর ও সংগীতে হাবিব ভাই ও ন্যান্সি আপুর জন্য একটি নাটকের গান করেছি। ‘আমার দিনগুলো সব আঁধারে যায় হারিয়ে’ কথার গানটি দারুণ সাড়া ফেলেছে। ফিচার কাজ বেশি করতেছি পাশাপাশি নিজের কাজও করছি। সিনেমা, নাটক অডিও- সব মিলিয়ে ব্যস্ততা ভালোই যাচ্ছে।
ইমরান মাহমুদুল। ছবি: শিল্পীর ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাগো নিউজ: গানের বাইরে আর কি করতে ভালোবাসেন?
ইমরান মাহমুদুল: গানের বাইরে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি মুভি দেখতে। আমার মুভি দেখতে ভীষণ ভালোলাগে। অবসর সময় পেলেই মুভি দেখি।
এমএমএফ/এএসএম