খেলা চলছিলো ১১৮.২ ওভারের। বোলার তাসকিন আহমেদ, ব্যাটার জাস্টিন গ্রিভস ব্যাট করছিলেন ৭৭ রান নিয়ে। ১০০‘র কাছাকাছি তখন জুটির বয়স। এমন পরিস্থিতিতে একটি উইকেট কতটা আরাধ্য টাইগারদের কাছে!
কিন্তু এমন এক অমার্জনীয় ভুল করলেন উইকেটরক্ষক জাকের আলি অনিক আর বোলার তাসকিন আহমেদ, যা রীতিমত বিস্মযকর। ওভারের প্রথম বলে ২ রান নেন গ্রিভস। পরের বলটি ছিল নিখুঁত লাইন-লেন্থের। বলে খোঁচা মারতে চেষ্টা করেন গ্রিভস। খালি চোখে দেখা গেলো একেবারে ব্যাটের কিনারা ঘেঁষে বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। তবে, বল ব্যাটে লাগেনি।
বোলার তাসকিন আহমেদকে দেখা গেলো মাথার পেছনে হাত দিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে। উইকেটরক্ষক জাকের আলি অনিক বল ধরে সতীর্থের হাতে বল তুলে দিলেন। তার কোনো হেলদোল নেই। উইকেটের সম্ভাবনা থাকলেই অনেকে আবেদন করেন। জাকের আলি অনিক কোনো আবেদন করেননি। ফলে উইকেটের কোনো সম্ভাবনাও তখন দেখা যায়নি। অর্থ্যাৎ বল ব্যাটে লেগেছে কি না তেমন কোনো আওয়াজ উইকেট রক্ষক কিংবা বোলার শোনেননি। আম্পায়ারও এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার গরজ অনুভব করেননি।
কিন্তু পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেলো, তাসকিনের হালকা ভেতরের দিকে ঢোকা বল জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাটের কিনারা স্পর্শ করে গিয়েছিলো। আবেদনটা করলেই উইকেট জমা হতো তাসকিনের ঝুলিতে। সবচেয়ে বড় কথা শতরান হওয়ার আগেই জুটিটা ভাঙতো। কিন্তু কী দুর্ভাগ্য ব্যাটে লাগলেও বল-ব্যাটের সংঘর্ষের আওয়াজ উইকেটরক্ষক জাকের আলি অনিকের কানে প্রবেশ করেনি। এমন ধরনের আউটের আবেদনটা আসতে হয় উইকেটরক্ষকের কাছ থেকে। তিনিই ব্যাটার এবং স্ট্যাম্পের সবচেয়ে কাছে থাকেন। বোলারও এই আওয়াজ শুনে থাকেন। অথচ, তাদের দু’জনের কেউই আওয়াজটা শুনলেন না।
সেই জাস্টিন গ্রিভস শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির দ্বারপ্রোন্তে। জুটিটাও ১৩০ প্লাস রানের। এ রিপোর্ট লেখার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১৩২.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪০০ রান। ৯৭ রান নিয়ে জাস্টিন গ্রিভস এবং ৪৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন কেমার রোচ।
আইএইচএস/এমএসএম