এশিয়া এক বৈচিত্র্যময় মহাদেশ। যেখানে একদিকে রয়েছে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরাশক্তি। যাদের উন্নত শিল্পখাত ও উচ্চ জীবনমান রয়েছে। অন্যদিকে কিছু দেশ এখনো দারিদ্র্য, সংঘাত ও কাঠামোগত সংকটে জর্জরিত।
নিচে জিডিপি পিপিপির ভিত্তিতে (ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে মোট দেশজ উৎপাদন) এশিয়ার দরিদ্র দেশের তালিকা দেওয়া হলো।
১. আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের জিডিপি পিপিপি হলো এক হাজার ৯৯১ ডলার। দীর্ঘদিনের যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মানবিক সংকট আফগান অর্থনীতিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দুর্বল অবকাঠামো ও সীমিত শিল্প উৎপাদনের কারণে এখানকার মানুষের আয় অত্যন্ত কম।
২. ইয়েমেন
ইয়েমেনের জিডিপি পিপিপি হলো দুই হাজার ২৩৭ ডলার। গৃহযুদ্ধ ও অবরোধের ফলে ইয়েমেনের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। একসময় তেলের সম্ভাবনা থাকলেও চলমান সংঘর্ষ সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে দেয়নি।
৩. তিমুর-লেস্তে
দেশটির জিডিপি হলো তিন হাজার ৮৪৫ ডলার। ২০০২ সালে স্বাধীনতা লাভকারী এ দেশটি এখনও তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা দারিদ্রতার মূল কারণ।
৪. নেপাল
নেপালের জিডিপি পিপিপি হলো পাঁচ হাজার ৫৩৫ ডলার। হিমালয় ঘেরা এ দেশটি কৃষি, রেমিট্যান্স এবং পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। উন্নয়ন ও শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রগতি সত্ত্বেও, গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য রয়ে গেছে।
৫. মিয়ানমার
মিয়ানমারের জিডিপি পিপিপি হলো পাঁচ হাজার ৫৬৬। রাজনৈতিক সংকট, সেনাশাসন ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দেশটির অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদই প্রধান আয়ের উৎস।
৬. ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনের জিডিপি পিপিপি হলো পাঁচ হাজার ৮০০ ডলার। দীর্ঘদিনের সংঘাত ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে ফিলিস্তিনের অর্থনীতি দুর্বল। উচ্চ বেকারত্ব এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা বিদ্যমান।
৭. তাজিকিস্তান
তাজিকিস্তানের জিডিপি পিপিপি হলো পাঁচ হাজার ৯৩১ ডলার। পর্বতবেষ্টিত ও ভূমিবেষ্টিত এই দেশটি রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল। শিল্পায়ন ও বাণিজ্যে বাধা হিসেবে কাজ করছে ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা।
৮. কিরগিজস্তান
কিরগিজস্তানের জিডিপি পিপিপি হলো ছয় হাজার ৯৮০ ডলার। রেমিট্যান্স ও কৃষি নির্ভর এ দেশের অর্থনীতি দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে আছে। পর্যটনের সম্ভাবনা থাকলেও তা এখনও সীমিত।
৯. কম্বোডিয়া
কম্বোডিয়ার জিডিপি পিপিপি হলো সাত হাজার ২৯ ডলার। টেক্সটাইল, কৃষি ও পর্যটনে অগ্রগতি সত্ত্বেও কম্বোডিয়া এখনও দরিদ্রতম দেশের তালিকায় রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের ঘাটতি বড় চ্যালেঞ্জ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এমএসএম