যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম এশিয়া সফরে আসছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন। তবে তার সফরসূচি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করেনি হোয়াইট হাউস। এই সফরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সঙ্গে বৈঠক হবে কিনা সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
বার্তা সংস্থা এএফপি'র তথ্য মতে, মালয়েশিয়ায় ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য আসিয়ান সম্মেলনে অংশ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মালয়েশিয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি সই করতে পারেন এবং থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তির জন্য চেস্টা করবেন।
এর ট্রাম্পের গন্তব্য হবে জাপান। সেখানে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ এবং প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
সবশেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক সম্মেলনে যোগ দেবেন ট্রাম্প। যেখানে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেইজিংয়ের রেয়ার আর্থ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ও নতুন মার্কিন শুল্ক আরোপে ব্যবসা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। এপেক সম্মেলনের সাইড লাইনে তাদের বৈঠক হলে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ কিছুটা থামতে পারে।
সম্ভাব্য এ বৈঠক নিয়ে বিশ্বজুড়ে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। বৈঠকটি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বৈঠক হবে কি না তা কোনো পক্ষ থেকেই নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া ট্রাম্পকে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গ্র্যান্ড অর্ডার অব মুগুংহওয়া’ প্রদান করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এ সফরে উত্তর কোরিয়া ইস্যুও আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে। দেশটি ট্রাম্পের সফরের ঠিক আগে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ভবিষ্যতে পুনরায় সাক্ষাতের আশা করছেন।
কেএম