ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে বুধবার (০৫ মার্চ) আটক করেছিল শাহবাগ থানা পুলিশ। সেই কর্মচারীর মুক্তি দাবিতে রাতে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন কিছু মানুষ।
সেই রাতে শাহবাগ থানায় যাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তিনি ওই স্ট্যাটাস দেন।
কালবেলার পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো-
শাহবাগ থানার ওসি রাত ১টার দিকে কল দিয়ে জানালেন- ‘থানার অবস্থা খুব একটা ভালো না, অপরাধীকে ছাড়িয়ে নিতে কিছু মানুষ থানার সামনে অবস্থান নিয়েছে এবং এই পরিস্থিতি বড় কোন সংকট ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।’
সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভিক্টিম বোনটির সঙ্গে যোগাযোগ করার নানা চেষ্টা করি। কিন্তু গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়ে থাকাটা স্বাভাবিক ছিল, তাই কাউকেই কানেক্ট করতে পারিনি।
সাহরির সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বোনটির সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রমনা জোনের ডিসি মাসুদ ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করে একমত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার অংশ হিসেবে থানায় যাই এবং সেখানে অবস্থানরত ‘তৌহিদি জনতা’র দাবি ও অবস্থান জানার চেষ্টা করি।
তাদের দাবি ছিল - ‘অর্ণবকে কোর্টে তোলা যাবে না, এখানেই মুক্তি দিতে হবে।’ এইটা শুধু স্বাভাবিক দাবির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; সেখানে অবস্থানরতরা একসঙ্গে হাতে হাত রেখে নিজেরা শপথও করে ফেলছেন- তারা জীবন গেলেও এখান থেকে সরবে না। অবস্থা ক্রিটিকাল দেখে তাদের বোঝানোর বহু চেষ্টা করতে যেয়ে উল্টো একাধিকবার বাকবিতন্ডার শিকারও হই।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সহকারী প্রক্টর স্যার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের প্রচেষ্টায় ওনাদের কর্মসূচি পরিবর্তনের ব্যাপারে দীর্ঘ সময় নানা অ্যাপ্রোচে রিকোয়েস্ট করা হয় এবং লিগ্যাল প্রসিডিউর মেইনটেইন করার ব্যাপারে ওনারাও কনভিন্সড হয়।
আমাদের আশঙ্কা ছিল- এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ঠিক যতটুকু অপরাধীর শাস্তি কিংবা ভিক্টিম বোনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাবার কথা, সেটা না হয়ে বরং বড় কোন অস্থিরতা বা সংকট তৈরি হতে পারে। এবং এই সুযোগে নানা প্রান্তিক রাজনৈতিক গ্রুপ নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
সবশেষে আমরা পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে অর্নবকে নিয়ে গাড়ি কোর্টে নেওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে ফিরি।
নোকতা-
১। অর্ণবের অ্যাপ্রোচ ও শব্দচয়ন হ্যারাসমেন্টের অ্যাপ্রোচ, এইটারে জাস্টিফাই করার সুযোগ নাই।
২। অর্ণবের হাতে কোরআন দিয়ে বিজয়ী স্লোগান ও আপনার ‘দ্বীনি’ ভুমিকা এই অঞ্চলের মুসলমানদের কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না; বরং বহুগুণ প্রশ্নবিদ্ধ করবে।