ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো নিউজিল্যান্ড
একম্যাচ হাতে রেখে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ ম্যাচটা তাদের জন্য ছিল আনুষ্ঠানিকতার। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন। শেষ পর্যন্ত লজ্জা এড়াতে সক্ষম হলো না ক্যারিবীয়ার। তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডে ম্যাচে তাদেরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো কিউইরা। হ্যামিল্টনে দুর্বল ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে লড়াই করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৬১ রানে অলআউট করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৬টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কিউরা। তবে, ৩০.৩ ওভারে (১১৭ বল হাতে রেখে) জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। চার পেসারের দুর্দান্ত বোলিং, এরপর চ্যাপম্যান-ব্রেসওয়েলের ব্যাটিং— সব মিলিয়ে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য কিউইরা আবারও দেখাল শক্তির প্রমাণ। ২০২০ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড হেরেছে মাত্র দুটি ওয়ানডে ম্যাচ। টানা ১১টি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ জয় করেছে তারা। পুরুষদের ওয়ানডেতে ক্রিকেটে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা (১৭) টানা সিরিজ জয়ের রেকর্ডে কিউইদের ওপরে রয়েছে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ১৪ ওভার হাতে রেখেই (৩৬.২ ওভারে) ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। ম্যা
একম্যাচ হাতে রেখে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ ম্যাচটা তাদের জন্য ছিল আনুষ্ঠানিকতার। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশন। শেষ পর্যন্ত লজ্জা এড়াতে সক্ষম হলো না ক্যারিবীয়ার। তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডে ম্যাচে তাদেরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো কিউইরা।
হ্যামিল্টনে দুর্বল ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে লড়াই করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৬১ রানে অলআউট করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৬টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কিউরা। তবে, ৩০.৩ ওভারে (১১৭ বল হাতে রেখে) জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। চার পেসারের দুর্দান্ত বোলিং, এরপর চ্যাপম্যান-ব্রেসওয়েলের ব্যাটিং— সব মিলিয়ে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য কিউইরা আবারও দেখাল শক্তির প্রমাণ।
২০২০ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড হেরেছে মাত্র দুটি ওয়ানডে ম্যাচ। টানা ১১টি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ জয় করেছে তারা। পুরুষদের ওয়ানডেতে ক্রিকেটে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা (১৭) টানা সিরিজ জয়ের রেকর্ডে কিউইদের ওপরে রয়েছে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ১৪ ওভার হাতে রেখেই (৩৬.২ ওভারে) ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। ম্যাট হেনরি ৪৩ রান দিয়ে একাই নেন ৪ উইকেট। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে শুরুতেই ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয়রা। আকিম অগাস্টে ও কিসি কার্টিকে একই ওভারে ফিরিয়ে দেন হেনরি। পরে কাইল জেমিসন, জ্যাকব ডাফি ও জ্যাক ফোকসও নিয়মিত আঘাত হানেন।
ক্যারিবীয় ব্যাটারদের মধ্যে ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ২৬ রান করেন। শাই হোপ ১৬ রান করে ফকসের বলে বিদায় নেন। রস্টোন চেস (৩৮) ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেননি কিউই বোলারদের সামনে।
বাউন্স, গতি আর ক্রস-সিম— সব মিলিয়ে কিউই পেসারদের সামনে কেবল আত্মসমর্পণই ছিল ক্যারিবীয় ব্যাটারদের শেষ ঠিকানা। ম্যাট হেনরি ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন জেকব ডাফি ও মিচেল সান্তনার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩০.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় নিউজিল্যান্ড। ড্যারিল মিচেল ইনজুরিতে ছিটকে গেলেও তার অভাব পুরণ করেন মার্ক চ্যাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েল।
যদিও ৭০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়াং, রাচিন রাবিন্দ্রা— সবাই আউট হয়ে ফিরলে চাপ বাড়ে কিউইদের ওপর। ঠিক তখনই এগিয়ে আসেন চ্যাপম্যান। ৬৩ বলে ৬৪– শুরুতে ধীর হলেও পরে চার, ছক্কার বন্যায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন।
তার সঙ্গে ব্রেসওয়েল ৪৮ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচকে একরকম নিশ্চিত করে ফেলেন। পরের দিকে চ্যাপম্যান ও স্যান্টনার আউট হলেও ব্রেসওয়েল ও জ্যাক ফকস জয় তুলে নেন অনায়াসেই— প্রায় ২০ ওভার বাকি রেখেই।
আইএইচএস/
What's Your Reaction?