সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে কক্সবাজারের মৃৎশিল্পীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বাঁশ, কাঠ, খড় ও কাদামাটির মিশ্রণে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এই বছর জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ৩১৭টি মণ্ডপে পূজিত হবে দেবী দুর্গা। কক্সবাজার সদর ৩১টি, চকরিয়া উপজেলা ৬৯টি, কুতুবদিয়া ৪৫টি সহ অন্যান্য এলাকায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ১৫১টি প্রতিমা পূজা ও ১৬৬টি ঘটপূজা।
এদিকে, দুর্গাপূজাকে ঘিরে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছে আয়োজক ও ভক্তরা। যদিও উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে ব্যয় বেড়েছে, তবুও পূজা উদযাপনে কোনো ভাটা নেই।
মৃৎশিল্পী মিল্টন ভট্টাচার্য বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার চাহিদা অনেক বেশি। তাই দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে। উপকরণের দাম বেড়েছে, তাই লাভ কম হচ্ছে। তবুও উৎসবকে ঘিরে আনন্দ উদ্দীপনা অনেক বেশি।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাশ বলেন, কক্সবাজারে ৩১৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের জেলা নেতা দোলন ধর কালবেলাকে বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা চাদরে মণ্ডপগুলো ঢাকা হচ্ছে। আশা করি আগের চেয়ে দ্বিগুণ উৎসাহ উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হবে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব।
এ বিষয়ে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর এহ্তেশামুল হক কালবেলাকে বলেন, প্রতিটি মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপে বিশেষ নজরদারি করা হবে। আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।