বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলি ওরফে সাধু নামে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৩ মার্চ) রাতে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল লতিফ শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম উত্তরপাড়া এলাকার ওসমান গনির ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহসভাপতি।
পুলিশ জানায়, শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহ তুরকান (রহ.) মাজার সংলগ্ন চারমাথা মোড়ে আকবর আলিকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. শাহ জামাল শেরপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার দা, গায়ের চাদর, প্লাস্টিকের স্যান্ডেল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসব আলামতের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। পরদিন অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল লতিফ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। নিহত আকবর আলীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত লেনদেনসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে একটি দা কোমরে গুঁজে নিয়ে বের হন এবং ফোন করে আকবর আলিকে বাড়ির বাইরে ডেকে নেন। রাত সাড়ে ১০টায় চায়ের দোকানে দুজনের দেখা হয় এবং তারা সেখানে চা পান করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ হয়ে গেলে তারা মাজার সংলগ্ন চারমাথা মোড়ের দিকে হাঁটতে থাকেন। এ সময় লতিফ আকবর আলির মাথায় ধারালো দা দিয়ে উপর্যুপরি কোপান। আকবর আলি চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে লতিফ পালিয়ে যান।
শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং পরবর্তী আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।