ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে শ্রীভূমি রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ লাগোয়া ও বাংলাভাষী অধ্যুষিত এই জেলার নাম পরিবর্তন করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের মন্ত্রীসভা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা লিখেছেন, প্রায় ১০০ বছর আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আধুনিক করিমগঞ্জ জেলা অঞ্চলকে শ্রীভূমি অর্থাৎ, মা লক্ষ্মীর ভূমি হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। আজ আসাম মন্ত্রিসভা সেই দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করলো।’
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তের এই জেলার পুরোনো গৌরব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যেই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আলাদা এক এক্স পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করিমগঞ্জের নতুন নাম শ্রীভূমি এর নিজস্ব পরিচিতি গড়ে তুলবে। সেই সঙ্গে এটি জেলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও তুলে ধরবে।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, রাজ্য সরকার এমন আরও কিছু নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিচ্ছে, যা অঞ্চলগুলোর ইতিহাস, সংস্কৃতি ও তাৎপর্যকে প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি বলেন, যেসব নাম ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বা প্রচলিত অভিধানে নেই, সেগুলো পরিবর্তন করা হবে। করিমগঞ্জ নামটি অসমিয়া বা বাংলা অভিধানে পাওয়া যায় না। তবে শ্রীভূমি অভিধানে উল্লিখিত ও অর্থপূর্ণ।
এর আগে ব্রিটিশ আমলে ১৮৭৮ সালে করিমগঞ্জকে সিলেট জেলার একটি মহকুমা হিসেবে গঠন করা হয়। করিমগঞ্জ শহর ছিল এই মহকুমার সদর দপ্তর। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় সিলেট জেলা পূর্ব পাকিস্তানে তথা বর্তমান বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে করিমগঞ্জ মহকুমার তিনটি ও অর্ধেক থানা এলাকা যথা- রতাবাড়ী, বদরপুর, পাথারকান্দি এবং করিমগঞ্জের একটি অংশ ভারতীয় ভূখণ্ডে থেকে যায়।
পরে এই মহকুমাকে কাছাড় জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১ জুলাই করিমগঞ্জকে পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে উন্নীত করা হয়। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, করিমগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ