কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে সৌদি আরবে

7 hours ago 5

সৌদি আরবে কর্মক্ষেত্রে, নেতৃত্বের ভূমিকায় এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সৌদি জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকস কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে সৌদি আরবের শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ ৩৬.২ শতাংশে পৌঁছেছে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, দিন দিন সৌদি নারীরা নেতৃত্বের বিভিন্ন পদে আসীন হচ্ছেন। ২০২৪ সালে দেশটিতে ৭৮,৩৫৬ জন নারী উচ্চপদস্থ ব্যবস্থাপনা বা লিডারশিপ পজিশনে কাজ করছেন।

উদ্যোক্তা খাতেও নারীদের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে নারীদের মালিকানাধীন ৫,৫১,৩১৮টি নিবন্ধিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল, যা তাদের অর্থনৈতিক ভূমিকা শক্তিশালী করছে।

বিশেষ করে সৌদি নারীদের ফ্রিল্যান্স কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৪,৪৯,৭২৫ জন সৌদি নারী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনুমোদন পেয়েছেন।

এছাড়া পর্যটন খাতেও নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ২০২৪ সালে ১,১১,২৫৯ জন সৌদি নারী পর্যটন সংশ্লিষ্ট চাকরিতে কর্মরত ছিলেন।

বিশ্বব্যাপী নারী শ্রমশক্তির সূচকে সৌদি আরবের অবস্থান 

নারীদের জন্য সর্বোত্তম কর্মপরিবেশ প্রদানকারী দেশের বার্ষিক সূচক প্রকাশ করে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্ট। এই সূচক ওইসিডিভুক্ত (ওইসিডি) ২৯টি দেশের নারী কর্মশক্তির অংশগ্রহণ, বেতন, প্যারেন্টাল ছুটি এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বসহ ১০টি বিষয় বিবেচনা করে তৈরি করা হয়।

২০২৪ সালের সূচকে সুইডেন শীর্ষস্থান অর্জন করেছে, যেখানে আগের দুই বছর আইসল্যান্ড প্রথম স্থানে ছিল। তবে এবার নিউজিল্যান্ড আট ধাপ উন্নতি করে পঞ্চম স্থানে উঠেছে।

ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে নারীরা শিক্ষাক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে। ২০২৪ সালে ৪৫ শতাংশ নারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, যা পুরুষদের ৩৬.৯ শতাংশের তুলনায় বেশি।

নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি সৌদি আরবের অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলছে 

সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অধীনে নারীদের কর্মসংস্থানে আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি নীতি, যেমন ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা বৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তা সহায়তা কর্মসূচির ফলে নারীরা আরও বেশি করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, নারীদের এই উত্থান সৌদি আরবের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং দেশটির শ্রমশক্তি ও ব্যবসায়িক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে।

Read Entire Article