নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের খাবারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শাহ সুফি নুর মোহাম্মাদের বিরুদ্ধে। তিনি কারখানার কর্মচারীদের প্রশিক্ষণে খাবার না দিয়ে তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ কর্মচারীদের।
তবে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের দাবি, প্রশিক্ষণার্থীদের ওই টাকা জমা রয়েছে। সেই তিন লাখ ২৫ হাজার টাকায় সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে দুপুরে খাবেন। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অর্থবহ সম্পর্ক তৈরি হবে।
কারখানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরই শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সচতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ’ করানো হয়। একদিনের এই প্রশিক্ষণ সপভিত্তিক পর্যায়ক্রমে করা হয়। এতে কারখানার ২৮টি সপের (দপ্তর) মোট ৬৫০ জন স্থায়ী শ্রমিক অংশ নেন। অংশ নেওয়া শ্রমিকদের সকাল ও বিকেলের নাশতা এবং দুপুরের খাবারসহ সম্মানী দেওয়া হয়। সম্মানী ৫০০ টাকা, দুপুরের খাবার ৫০০ টাকা এবং নাশতার জন্য ৮০ টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু সম্মানী ও নাশতা দেওয়া হলেও দুপুরের খাবার দেওয়া হয়নি শ্রমিকদের। অথচ দুপুরের খাবারের জন্য বরাদ্দ ছিল তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশিক্ষণার্থী কয়েকজন শ্রমিক বলেন, প্রতি বছরই প্রশিক্ষণ করলে ভাতা, নাশতা ও খাবার বাবদ এক হাজার ৮০ টাকা জনপ্রতি বরাদ্দ থাকে। অথচ এবার শুধু ৫০০ টাকা সম্মানী ও ৮০ টাকার নাশতা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরইমধ্যে শ্রমিকরা একদিনের কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের ডেকে ওই তিন লাখ ২৫ হাজার টাকায় সবাইকে একদিন ভূরিভোজের সিদ্ধান্ত নেন বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ।
আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা তিনি বা তার কোনো কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেননি। টাকাগুলো তাদের হাতে রয়েছে। ওই টাকা দিয়ে একদিন বড় আয়োজন করে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করাসহ একসঙ্গে দুপুরে খাওয়া হবে।
তবে এটা কি প্রশিক্ষণের কার্যবিধির মধ্যে পড়ে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরআগে করা হয়নি। ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমিরুল হক/এসআর/জিকেএস